ইউএসএআইডির নতুন মিশন পরিচালক রিড এশলিম্যান আজ বলেছেন, উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আরও স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে আগ্রহী।
এখানে আমেরিকান সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তিনি বলেন, ‘আমরা যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই না কেন, ইউএসএআইডি আমাদের বাংলাদেশী অংশীদারদের পাশে দাঁড়াতে এবং আরও স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বলেন, যেকোনো দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে গণতান্ত্রিক নীতি শক্তিশালী করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।
তিনি যোগ করেন, অর্থনৈতিক সমীক্ষায় দেখা যায়, যখন প্রবৃদ্ধি কথা আসে, গণতন্ত্র বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও মানব পুঁজির উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নয়ন ঘটায়।
ইউএসএআইডি মিশন পরিচালক বলেন, ‘আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেসরকারি খাতের শক্তিকে আরও রূপে কাজে লাগানো।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে সরকারি খাত ও উন্নয়ন অংশীদারগণ একাই প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগ উদ্দীপিত করতে এবং বেসরকারি খাতের সহায়তায় কৃষক এবং ছোট ব্যবসার জন্য অর্থায়নের সুযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাফল্য দেখেছি।’
রিড বলেন, মানুষের নিজেদের মধ্যে বিনিয়োগ করার এবং এই দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনায় আরও অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে।
‘আমরা বাংলাদেশিদের আরও উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে সাহায্য করার জন্য ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে কাজ করছি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউএসএআইডি কৃষক, ডাক্তার, নার্স, স্কুল শিক্ষক বা জরুরি সাড়াদাতাদের দক্ষতা তৈরি-যে খাতেই হোক, বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে এবং মানুষকে তাদের জীবন মান উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামে সজ্জিত করবে।
তিনি বলেন, ‘মানুষের ক্ষমতায়ন আমাদেরকে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করে যাতে বাংলাদেশিদের আরও স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক ও সকল নাগরিকের উন্নতি লাভের সুযোগ থাকবে এমন একটি সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে সহায়তা করা যায়।’
মিশন ডিরেক্টর বলেন, ইউএসএআইডির লক্ষ্য হল বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো অংশীদার হওয়া এবং এর পদ্ধতি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহযোগিতামূলক হওয়া নিশ্চিত করা।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যুব, মহিলা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ বাংলাদেশের জনসংখ্যার মূল অংশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে-যাতে তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আরও সম্পূর্ণভাবে অবদান রাখতে পারে।’
তিনি বলেন, ইউএসএআইডি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানে আমাদের বিনিয়োগ সম্প্রসারণ করছে।’
রিড বলেন, ইউএসএআইডির বিনিয়োগ ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশকে মা ও শিশু মৃত্যুহার প্রায় ৭০ শতাংশ কমাতে সাহায্য করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১১৫ মিলিয়ন ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দান করেছে এবং ইউএসএআইডি স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে এবং তাদের সামনের সারিতে জীবন বাঁচাতে সহায়তা করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে অংশীদার হতে পেরে গর্বিত।
তিনি বলেন, ইউএসএআইডি গত ২০ বছরে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও অন্যান্য দুর্যোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে ৯০০টি বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে।
তিনি বলেন, ইউএসএআইডি প্রশিক্ষিত কৃষক ও উৎপাদকরা সম্মিলিতভাবে বছরে গড়ে ৫০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমমূল্যের পণ্য উৎপাদন করে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:১০:১০ ৪৯ বার পঠিত