স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘আমাদের ইলেকশন সামনে আসছে। এই নারায়ণগঞ্জে ৫ জন এমপি আছেন। সবাই অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নারায়ণগঞ্জে সুদৃঢ়। আমি এইখানে এসে আশ্বস্ত হয়ে যেতে চাই, এই নারায়ণগঞ্জে নৌকা মার্কার কোন বিকল্প নাই। যে যতই হৈ-চৈ করেন, ষড়যন্ত্র করেন কাজ হবে না।’
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নম্বর রেলগেইট এলাকায় বঙ্গবন্ধু সড়কের উপর আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনদিন ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ কোনদিন গান পাওয়ারে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র জনগণকে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগের পাশে জনগণ আছে এবং থাকবে। আগামী নির্বাচনেও জনগণ ভুল করবে না। আবারও এদেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শুধু আমাদের নেতা নন, তিনি সারা বিশ্বের নন্দিত নেতা। সারাবিশ্বের যেখানেই যাই সেখানে তাঁর প্রশংসা। যতদিন শেখ হাসিনা থাকবে ততদিন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আর থামবে না।’
বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনের ‘নায়কদের’ মরণোত্তর বিচারের দাবি যথার্থ বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর অনেকে দেশে রাজনৈতিক হত্যাকান্ড হয়েছে। সেসব হত্যাকান্ডে শুধু টার্গেটকেই হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়কেও হত্যা করা হয়েছে। এর কারণ ছিল, বঙ্গবন্ধুর রক্তের যদি কেউ বেঁচে থাকে তাহলে এই ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। সেটাই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তীতে এই হত্যার বিচার করেছেন।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এদেশের মানুষ নৃশংসতা, জ্বালাও-পোড়াও, জঙ্গির উত্থান দেখেছে। আগে ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদার জন্য টেলিফোন আসতো। আমিও এইটা ফেস করেছি, আমাকেও বলেছে। সেই বাংলাদেশে আজকে কোন জায়গা থেকে কোন ভাইজান ফোন করে বলে না, আমাকে চাঁদা না দিলে বিল্ডিং করতে পারবেন না, আপনার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। এইটার জন্য বিচক্ষনতা ও দূরদর্শীতা সম্পন্ন নেতা লাগে। তিনিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।
শহরের প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়কের উপর অস্থায়ী মঞ্চ করে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। দুপুর দুইটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলে এই সমাবেশ। পুরো সময়টাতে শহরের প্রধান এই সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তির শিকার হন নগরবাসী। সমাবেশ শেষে নেতা-কর্মীরা সড়ক ছাড়লে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরে শহর।
এদিকে সমাবেশকে ঘিরে শহরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য। সারা পোশাকেও ছিল গোয়েন্দা নজরদারি।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, জিএম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, সাফায়েত আলম সানিসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৮:১৯ ৫১ বার পঠিত