শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সুন্দরবন রক্ষায় সরকারি উদ্যোগের প্রশংসা বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » সুন্দরবন রক্ষায় সরকারি উদ্যোগের প্রশংসা বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির
শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩



সুন্দরবন রক্ষায় সরকারি উদ্যোগের প্রশংসা বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির

গেল এক দশকে সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বিশ্ব ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত ইউনেস্কোর সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী পরিষদ। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পরিষদের চলমান ৪৫তম বর্ধিত সভায় এই সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তে সুন্দরবন সংলগ্ন রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে টেকসই উন্নয়ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারের কর্মকাণ্ড বজায় রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ২০১৩ সালে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকে ঘিরে সৃষ্ট বিতর্কের প্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ইউনেস্কোর সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী এই পরিষদ।

এদিকে সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করায় বিশ্ব ঐতিহ্য পরিষদের সব সদস্যকে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে ধন্যবাদ পৌঁছে দিয়েছেন ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউনেস্কোর স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা।

তিনি বলেছেন, ‘এই অর্জন বিগত দেড় দশকে বৈশ্বিক জলবায়ু সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রণী ভূমিকা ও নেতৃত্বের আরও একটি স্বীকৃতি’। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশকে তার টেকসই উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অন্যদিকে, এই সিদ্ধান্তের ফলে ২০২৯ সাল পর্যন্ত সংরক্ষণ প্রতিবেদেন দেয়ার বাধ্যবাধকতা থেকে অবমুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সাত বার এই প্রতিবেদন দিয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের এই দরকষাকষি প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বন, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ, নৌপরিবহন সচিব মোস্তফা কামাল, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফাইয়াজ মুরশিদ কাজীসহ একটি কার্যকরীদল বাংলাদেশের কারিগরী অবস্থান নির্ধারণে নিরলস কাজ করেন এবং ইউনেস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিকে কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দেন।

ইউনেস্কোর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা এই অর্জনকে বাংলাদেশের অনুকরণীয় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:২২:১০   ৪৪ বার পঠিত