ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) শুক্রবার আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে জামিন দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট তার গ্রেপ্তারকে ‘বেআইনি’ বলে রায় দেওয়ার একদিন পর হাইকোর্ট এ রায় দিলেন। আরওয়াই নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব ও বিচারপতি সামান ইমতিয়াজের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ ইমরান খানের দুই সপ্তাহের জন্য জামিন মঞ্জুর করেন। সেই সঙ্গে আইএইচসি ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো্র (এনএবি) জন্য নোটিশ জারি এবং পরবর্তী শুনানিতে উত্তর জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে পিটিআই প্রধানকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলার শুনানির জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির করানো হয়। ইমরান খানের আইনজীবীরা চারটি অতিরিক্ত আবেদন দাখিল করেছিলেন, যাতে ইমরানের বিরুদ্ধে সমস্ত মামলাকে একত্রিত করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করা হয়। পিটিআই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত করা মামলাগুলোর বিশদ বিবরণ দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য আদালতকে অনুরোধ করা হয়েছিল।
এদিকে হাইকোর্টে ইমরান খানের উপস্থিতির সময় রাজধানীতে অসামান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। আইএইচসির বাইরে পুলিশ এবং ফ্রন্টিয়ার কর্পসের (এফসি) সেনা মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়াও শ্রীনগর হাইওয়েতে পুলিশ লাইনের কাছে কনটেইনার স্থাপন এবং ফৈজাবাদ সেতু, শ্রীনগর হাইওয়ে এবং পুলিশ লাইনের নিচে পুলিশ ও রেঞ্জার্স কর্মকর্তাদের একটি দল মোতায়েন করা হয়।
অন্যদিকে পিটিআই বলেছে, ‘শান্তিপূর্ণ’ সমর্থকরা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে ইসলামাবাদের জি-১৩-এর শ্রীনগর হাইওয়েতে জড়ো হবে। আদালতে উপস্থিতির পর ইমরান একটি বক্তৃতা দেবেন বলেও তারা জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, কর্তৃপক্ষ ইমরানকে আবারও গ্রেপ্তার করবে। তিনি বেসরকারি টিভিকে বলেন, ‘যদি (ইমরান খান) হাইকোর্ট থেকে জামিন পান, আমরা জামিন বাতিলের জন্য অপেক্ষা করব এবং তাকে আবার গ্রেপ্তার করব।’
রাজধানী ইসলামাবাদে এক শুনানিতে প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল বৃহস্পতিবার ইমরান খানকে বলেন, ‘আপনার গ্রেপ্তার অবৈধ ছিল, তাই পুরো প্রক্রিয়াটি পিছিয়ে নেওয়া দরকার।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে মঙ্গলবার ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল। গত এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খান তড়িঘড়ি নির্বাচনের জন্য একটি তুমুল প্রচারণা চালিয়েছেন এবং পাকিস্তানের সরকার ও শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর অভূতপূর্ব সমালোচনা করেছেন।
সূত্র : এআরওয়াই নিউজ
বাংলাদেশ সময়: ১৯:০৪:১৩ ৫৭ বার পঠিত