বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সতিন্দর কুমার খোসলা। যিনি অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ‘শোলে’ খ্যাত এ অভিনেতা মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মুম্বাইয়ে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। সতিন্দরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (সিআইএনটিএএ) তথা সিন্টা।
প্রয়াত অভিনেতা সতিন্দরের বন্ধু জুগনু তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন গণমাধ্যমে। তিনি জানান, মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সতিন্দর। সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হয়ে মারা যান।
এদিকে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ের হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ইতোমধ্যেই প্রবীণ এ অভিনেতার মৃত্যুতে বলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সত্তর এবং আশির দশকে বলিউডের একাধিক জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন সতিন্দর। কৌতুকাভিনেতা হিসেবে নামডাক ছিল তার। মঞ্চে এবং রূপালি পর্দায় ‘বীরবল’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।
১৯৩৮ সালের অক্টোবর মাসে পাঞ্জাবের গুরদাসপুরে জন্ম সতিন্দরের। সত্তর এবং আশির দশকে বলিউডের একাধিক জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
‘শোলে’ সিনেমায় অভিনয়ের পরে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ‘ইয়ারানা’ সিনেমাতেও কাজ করেছিলেন সতিন্দর। এ ছাড়াও তাকে দেখা গিয়েছিল ‘হম হ্যায় রাহি প্যার কে’, ‘অঞ্জাম’, ‘নসিব’-এর মতো সিনেমাতেও। কৌতুকাভিনয়ে দক্ষতার জন্য মঞ্চে ‘বীরবল’ নামে জনপ্রিয় হয়েছিলেন প্রয়াত সতিন্দর।
প্রসঙ্গত, মনোজ কুমারের ‘উপকার’, ‘রোটি কাপড়া অউর মকান’, ‘ক্রান্তি’-র মতো সিনেমায় প্রশংসিত হয়েছে তার কাজ। ১৯৭৫ সালে ‘শোলে’ সিনেমায় এক বন্দির চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের নজরে পড়েন সতিন্দর। এর আগে ১৯৭০ সালে ‘মেরা নাম জোকার’ সিনেমাতেও দর্শকের মন জয় করেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৪:১১ ৪২ বার পঠিত