ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় নোয়াখালীর হাতিয়ায় ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকাল থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার খসরু বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য সিপিসি স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশ দেন তিনি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় হাতিয়াতে সিপিপির ১৭৭টি ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকদের সর্তক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে। সকালে উপজেলা পরিষদের প্রতিটি ইউনিটে লাইভ জেকেট, গানবুট, রেইনকোর্ডসহ ১৪টি আইটেমের একটি করে প্যাকেট দেওয়া হয়। যাতে ঘূর্ণিঝড়ের সময় এসব স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠে থেকে কাজ করতে পারেন।
উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের জহরলাল মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকরা আশ্রয়কেন্দ্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় কাজ করছেন। এ সময় সিপিপির ইউনিট প্রধান আব্দুস সহিদ জানান, হাতিয়াতে ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে অনেকগুলো তালা বদ্ধ থাকে। যা আজ সকাল থেকে খুলে পরিষ্কার করা হচ্ছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে আসা-যাওয়া পথ পরিষ্কার করছেন তারা।
এছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার সময় উপজেলা প্রশাসনের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিঠির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার খসরু, সহকারী কমশিনার (ভূমি) গোলাম সরোয়ার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির হোসেনসহ কোষ্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপজেলার ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। সিপিপির ১৭৭টি ইউনিটে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ সদস্য প্রস্তুত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৪:৩৬ ৪৮ বার পঠিত