পুকুর, খাল ও মাটির নিচ থেকে মোটরের মাধ্যমে ট্যাংকে পানি ভর্তি করে বোতলজাত করে সুপেয় পানি (মিনারেল ওয়াটার) বলে বিক্রি করা হয় বিভিন্ন হোটেল, প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তিনটি পানির কারখানাকে এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছে র্যাব ও উপজেলা প্রশাসন। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পানি বোতলজাতকরণ করে বিক্রি, লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলো।
সোমবার সন্ধ্যায় বেগমগঞ্জ উপজেলার পৃথক স্থানে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পানি বোতলজাত করে বিক্রির অভিযোগে সন্ধ্যায় বেগমগঞ্জের বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো, ইয়াসির আরাফাত এবং র্যাব-১১ কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
অভিযানকালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পানি বোতলজাতকরণ, কারখানার কাগজপত্র হালনাগাদ ও লাইসেন্স না থাকায় এশিয়া ড্রিংকিং ওয়াটারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাউদ হোসেন ফাইসালকে পঞ্চাশ হাজার টাকা, পিপাসা ড্রিংকিং ওয়াটারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমকে পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং এবি পিউর ড্রিংকিং ওয়াটারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফকে ত্রিশ হাজার টাকাসহ মোট একলাখ ত্রিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মালিকরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ট্যাপের পানি বোতল জাত করে সুপেয় পানি বলে বাজারজাত করে আসছিলো। র্যাব-১১ এর আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ পূর্বক উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় যৌথ ভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিনটি কারখানা মালিককে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৮:৩৯ ৫৩ বার পঠিত