সোমবার, ৮ মে ২০২৩

রবীন্দ্রনাথসহ দেশের প্রথীতযশা সাহিত্যিকদের স্মৃতি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হবে : মাহবুব উল হানিফ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » রবীন্দ্রনাথসহ দেশের প্রথীতযশা সাহিত্যিকদের স্মৃতি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হবে : মাহবুব উল হানিফ
সোমবার, ৮ মে ২০২৩



রবীন্দ্রনাথসহ দেশের প্রথীতযশা সাহিত্যিকদের স্মৃতি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হবে : মাহবুব উল হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ দেশের সকল প্রতিথযশা সাহিত্যিকদের স্মৃতি বাস্তুভিটা স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হবে।
আজ সোমবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহে বিশ^কবির স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ীতে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, বর্তমান সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাহিত্যিকদের বিলুপ্তপ্রায় স্মৃতি যেভাবে তুলে আনা হয়েছে সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র গবেষক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ী, কাচারিবাড়িসহ তাঁর সকল স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ও থাকবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব কাজী নুরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে মূল আলোচক ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সরোয়ার মুর্শেদ।
এবারের আয়োজনে কুঠিবাড়ীর মূল মঞ্চে প্রতিদিনই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলার সংগঠনসহ জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা কুঠিবাড়ীর মূল মঞ্চে রবীন্দ্র সংঙ্গীত, কবিতা আবৃত্তি, দলীয় নৃত্য ও রবীন্দ্রনাথের লেখা নাটক পরিবেশন করবেন। তবে এর আগেই কুঠিবাড়ীতে রবীন্দ্রপ্রেমী দর্শনার্থীদের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে। কুঠিবাড়ী চত্তরে বসেছে বিশাল গ্রামীন মেলা। নানা রকম পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। ঐতিহাসিক এই উৎসবকে নির্বিঘœ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কয়েক স্তরের কঠোর নিরাপত্ত্বা ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, জমিদারী দেখাশোনার জন্য ১৮৯১ সালে প্রথম এই কুঠিবাড়ীতে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নিরিবিলি পরিবেশ, জমিদারী আর ব্যবসার কারনে বার বার কুষ্টিয়ার এই কুঠিবাড়িতে ফিরে আসতেন তিনি। নিভৃত বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কবীর জীবনের বেশকিছু মূল্যবান সময় কেটেছে। এখানে বসে রচিত গীতাঞ্জলী কাব্যই রবীন্দ্রনাথকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরস্কার আর বিশ্বকবির মর্যাদা।
এছাড়াও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে বসেই আমাদের জাতীয় সঙ্গীতসহ অসংখ্য কালজয়ী সাহিত্য রচনা করেছেন। কুঠিবাড়িতে সংরক্ষণ করা হয়েছে সে সব দিনের নানা স্মৃতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৪৪:৫২   ৬৪ বার পঠিত