প্রথমবারের মতো লিওনেল মেসি গিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে। সেখানেও বাজিমাত করলেন ফুটবলের এই ক্ষুদে জাদুকর। নির্ধারিত সময়ের ৮ গোলের শেষ পর্যন্ত গড়ায় টাইব্রেকারে। আর টাইব্রেকে ৫-৩ ব্যবধানে পাওয়া জয়ের মাধ্যমে লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে মেসির ইন্টার মায়ামি।
মেসি জাদুতে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিট। এরপর অতিরিক্ত সময়েও এগিয়ে যেতে ব্যর্থ হয় দুই দল। যার ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। শেষ পর্যন্ত ৫-৩ গোলে জয় বাগিয়ে নিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করে মায়ামি।
প্রথমবারের মতো মায়ামির হয়ে একসঙ্গে মাঠে নামেন সাবেক তিন বার্সেলোনা তারকা; সার্জিও বুসকেটস, জর্ডি আলবা ও লিওনেল মেসি। ম্যাচের ৬ মিনিটের মাথায় লিড নেয় মায়ামি। আলবার পাসে বক্সের বাইরে থেকে বল জালে জড়ান মেসি।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে অবিশ্বাস্যভাবে আট মিনিটের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে ডালাস যায় লিডে। ৩৭তম মিনিটে ডালাসকে সমতায় আনেন ফাকুন্দো কুইগনন। আর ৪৫ মিনিটের মাথায় দলকে লিড এনে দেন বার্নার্ড কামুঙ্গো। এতে করে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ডালাস।
৬৩তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। অ্যালান ভেলাস্কো ডালাসকে নিয়ে যান ৩-১ ব্যবধানে।
তবে মায়ামির ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত পাওয়া যায় দুই মিনিট বাদেই। আলবার অ্যাসিস্টে ব্যবধান কমান বেঞ্জামিন ক্রেমাসচি। আর তাতে স্বস্তি কিছু সময়ের জন্য ফিরেছিল মায়ামি শিবিরে।
কিন্তু ৬৮ মিনিটের মাথায় রবার্ট টেলরের আত্মঘাতী গোল ফের হতাশায় ডুবিয়ে দেয় মায়ামিকে। স্কোর সে সময় ৪-২।
মায়ামির করা আত্মঘাতী গোলের ঋণ ম্যাচের ৮০তম মিনিটেই শোধ করে দেন ডালাসের মার্কো ফারফান। আর ৫ মিনিট দুর্দান্ত এক ফ্রি কিকে মেসি জালের ঠিকানা খুঁজে নিলে সমতায় ফেরে মায়ামি।
এরপর ম্যাচের বাকিটা সময় গোলের দেখা না মেলায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকের প্রথম শটে মেসি জালের ঠিকানা খুঁজে নেন। মায়ামি তাদের পাঁচটি শটের সবগুলোই জালে জড়াতে সক্ষম হলেও দ্বিতীয় শটে ডালাসের পমিক্যাল মিস করেন। আর তাতেই ভাগ্য খুলে যায় মায়ামির। নিশ্চিত হয় লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৫:৪৫ ৬৫ বার পঠিত