গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে জেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকায়
পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসাসহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে ।
এর মধ্যে শহরের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে মানুষ। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেও পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহবান জানানো হচ্ছে।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জেলা প্রশাসনের সাথে সেনাবাহিনী,পুলিশ,ফায়ার সার্ভিসসহ সম্মিলিত একটি টিম ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসে এবং সকলকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসার আহবান জানান।
এ সময় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ আহমেদ,ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে(বাসস) জানান, গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে এখানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসাধারনকে জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রস্তুতকৃত আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছি এবং যারা আসেনি তাদেরকেও দ্রুত চলে আসার আহবান জানাচ্ছি।
তিনি বাসসকে আরো জানান রাঙ্গামাটি শহরে বর্তমানে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ টি আশ্রয় কেন্দ্রে বর্তমানে ১৬২ জন আশ্রয় গ্রহণ করেছে। আশ্রয় কেন্দ্রে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও ভাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আরো প্রায় ১৬৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শহরের ভেদভেদি স্থানীয় সমাজ কমিটির নেতা মোঃ ফজলুল করিম বাসসকে জানান, আমরা যেখানে বসবাস করছি সেখানে বেশকিছু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা রয়েছে। রাঙ্গামাটিতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত মানুষকে পরিবার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে বলছি। এর মধ্যে অনেকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে গেছেন। যারা এখানো যায়নি তাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে আমরা অনুরোধ করছি।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মোঃ দিদারুল আলম বাসসকে জানান, সম্ভাব্য পাহাড় ধসের কথা চিন্তা করে আমরা জেলা ফায়ার সার্ভিস সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যে কোন দুর্যোগ হলেই উদ্ধার তৎপরতা চালানো সম্ভভ হবে বলে তিনি জানান।
এছাড়া দুর্ঘটনা এড়াতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে যে কোন ধরনের নৌ-যান চলাচলের উপর নিষেধজ্ঞা জারী করেছে জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালে ১৩ জুন রাঙ্গামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় ৫ সেনাসদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ২০১৮ সালে নানিয়ারচরে পাহাড় ধসে মারা যান ১১ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৭:৫৪ ৫৪ বার পঠিত