জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা রবিবার দক্ষিণ কোরিয়া এসে পৌঁছেছেন।
সিউল ও টোকিও’র ‘শাটল কূটনীতি’ পুনরায় শুরু করা এবং পিয়ংইয়ংয়ের ক্রমবর্ধমান পরমাণু হুমকির মুখে দুদেশের সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টার প্রেক্ষাপটে কিশিদার সফরটি অনুষ্ঠিত হলো।
কিশিদাকে বহনকারী বিমানটি রবিবার সেওংনামের সিউল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গত এক দশকে সিউলে জাপানের কোন নেতার এটি প্রথম দ্বিপাক্ষিক সরকারি সফর। বিমানবন্দরে পৌঁছালে কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।
দিনশেষে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক ইয়েলের সাথে তার গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে।
পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশি এ দুদেশের সাথেই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তবে ঐতিহাসিক কিছু কারনে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে তিক্ততাও রয়েছে। কোরীয় উপদ্বীপে ১৯১০ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ঔপনিবেশিক দখলদারিত্বের সময়ে জাপান দেশটির ওপর যৌন দাসত্ব ও জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করাসহ নানা ধরনের নৃশংসতা চালায়।
বিশেষ করে যুদ্ধকালীন যৌনদাসীদের ব্যবহার, যাদের ‘কমফোর্ট উইমেন’ বলা হয় এবং জোরপূর্বক শ্রমসহ জাপানের ৩৫ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের সময় সংঘটিত নৃশংসতা উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া ২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত জাপানী সংস্থাগুলোকে জোরপূর্বক শ্রমের শিকার ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়ার পর দুদেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে।
এ প্রেক্ষাপটে গতবছর নির্বাচনের পর ইয়ন স্পষ্ট করে বলেছেন, জাপানের সাথে সম্পর্ক পুন:প্রতিষ্ঠাকে তিনি অগ্রাধিকার দেবেন।
দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার প্রাক্কালে কিশিদাও বলেছেন, তথাকথিত ‘শাটল কূটনীতি’ পুনরায় শুরুর জন্যে তারা উভয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেছেন, আস্থার সম্পর্কের ভিত্তিতে তিনি ইয়নের সাথে সততার সাথে মতবিনিময়ে আগ্রহী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৯:২৩ ১০৫ বার পঠিত