চীন ও ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) হোয়াইট হাউজের ওভালে বৈঠকে বসেন এই দুই নেতা। খবর আল-জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন, অভিবাসন, গর্ভপাত এবং এলজিবিটিকিউ অধিকারের বিষয়ে ইতালির সঙ্গে উষ্ণ আলোচনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির উগ্র-ডানপন্থি অবস্থান নিয়েও মতপার্থক্য কমেছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। বৈঠক শেষে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির ভূয়সী প্রশংসা করেন বাইডেন।
বৈঠকের শেষে বাইডেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং ইতালি দৃঢ়ভাবে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে। মেলোনির সরকার বৈঠকের সময় রাশিয়ার নৃশংসতার বিরোধিতা করে খুব শক্তিশালী অবস্থান নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি ইতালীয় জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। তারা আপনাকে (মেলোনি) সমর্থন করার পাশাপাশি ইউক্রেনকে সমর্থন করছে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
অন্যদিকে মেলোনি জানান, ইউক্রেনের প্রতি ইতালির সমর্থনের জন্য তিনি গর্বিত।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কঠিন সময়ে কোন বন্ধুরা পাশে আছে তা আমরা জানি। আমি মনে করি, পশ্চিমা দেশগুলো দেখিয়েছে যে, তারা একে অপরের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করতে পারে। এটা সত্যিই দারুণ।’
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে (বিআরআই) ইতালির অংশগ্রহণ নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করলেও এ বিষয়ে ওয়াশিংটনের দৃষ্টিভঙ্গি কী তা প্রকাশ করেননি মেলোনি।
মেলোনির ব্রাদার্স অব ইতালি পার্টির সঙ্গে বেনিতো মুসোলিনির ফ্যাসিবাদী আন্দোলনের ঐতিহাসিক যোগসূত্র রয়েছে। তিনি গণ অভিবাসন, সমকামিতার সমালোচনা করে থাকেন। এ ছাড়া পোল্যান্ড ও স্পেনের অতি-ডান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি তার রয়েছে শক্ত সমর্থন।
এসব কারণে মেলোনির নির্বাচনে জয় পেলে তার কড়া সমালোচনা করেছিলে বাইডেন প্রশাসন। গণতন্ত্র এবং ন্যাটোর মতো আন্তর্জাতিক জোটের জন্য মেলোনির জয়ের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বাইডেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৮:৩৩ ৫৩ বার পঠিত