মুন্সীগঞ্জ থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র আমির আনিসুর রহমান মাহমুদসহ তিনজনকে গ্রেফতারের পর র্যাব বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে আনসার হাউস তৈরি হয়েছিল তার নির্দেশনায়।
সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গত বছরের অক্টোবর থেকে পার্বত্য অঞ্চলে শুরু হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযান। এরই মধ্যে নতুন জঙ্গি সংগঠনের প্রায় শতাধিক এবং পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিশের অধিক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। সংগঠনটি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে টের পেয়ে আত্মগোপনে চলে যান আমির।
রোববার (২৩ জুলাই) মধ্যরাতে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে জঙ্গি সংগঠনটির আমিরসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, হিন্দাল শারক্বীয়ার আগের আমির মাইনুল ইসলাম রক্সি গ্রেফতারের পর আমিরের দায়িত্ব পান আনিসুর। পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থানের সময় ২০২১ সালে কেএনএফের সঙ্গে তাদের প্রশিক্ষণ চুক্তি হয়। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটির প্রধান নাথান বমকে রাজধানীর বাসাবো এলাকায় বাসা ভাড়াও করে দিয়েছিলেন আনিসুর।
শুধু কেএনএফ নয়, প্রশিক্ষণ চুক্তি হয়েছিল আনসার আল ইসলামের সঙ্গেও। চুক্তি অনুযায়ী হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের আইটি ও নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ দেবে আনসার আল ইসলাম। বিনিময়ে আনসার আল ইসলামকে পার্বত্য অঞ্চলে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা ছিল শারক্বীয়ার।
খন্দকার আল মঈন বলেন, শারক্বীয়ার আমির আনিসুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব জানতে পেরেছে, কেএনএফ প্রধান নাথান বম এ মুহূর্তে ভারতের মিজোরামে অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:০৭:৩১ ৪৪ বার পঠিত