নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি টিনশেড বাড়িতে তিতাস গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় দগ্ধদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২২ জুলাই) রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার বাঁশমুলি এলাকায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- আলম (৩৫), রমজান (২২) ও রিফাত (১৩)। তাদের তিনজনের বাড়ি কুমিল্লায়। পেশায় তারা রঙ মিস্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, রাত ১২টার দিকে খলিল মুন্সীর বাড়ির ব্যাচেলর ভাড়াটেদের ঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় টিনের চাল উড়ে যায় এবং উপর দিকে দেয়ালের কিছু অংশ ধসে পড়ে। ঘরে থাকা আলম, রমজান ও রিফাত দগ্ধ হয়। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে বাড়ির অন্যান্য বাসিন্দা ও আশপাশের লোকজন এসে দগ্ধদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করেন।
বিস্ফোরণ হওয়া ঘরটির ভেতরে গ্যাস লাইনের একটি রাইজার এবং মেঝেতে সিগারেটের পোড়া অংশ ও একটি লাইটার ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এলাকাবাসীর ধারণা, গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে ঘরের ভেতরে গ্যাস জমে ছিল। কেউ সিগারেট ধরালে সেই আগুন থেকে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ভোরের দিকে তিনজনকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ যিনি তাদের নিয়ে এসেছেন তিনি জানিয়েছেন ঘরের ভেতর গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুনে দগ্ধ হয়েছেন তারা। স্থানীয় থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধদের মধ্যে আলমের শরীরের ৭২ শতাংশ, রমজানের ৫৮ শতাংশ এবং রিফাতের ২৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম খান বলেন, ‘বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে কারো দোষ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৪:২৩ ৪৫ বার পঠিত