প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষণে ঢাকায় সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশ সরকার আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের প্রধান চেলেরি রিকার্ডো।
আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতেই ইইউ পর্যবেক্ষক দল এখন ঢাকায়। রাজনৈতিক দল, মানবাধিকার কমিশন, দেশীয় পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে তাদের দুই সপ্তাহের সফরে বৈঠক হবে নির্বাচনের সব অংশীজনের সঙ্গে। তবে এই সফরে তাদের সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টায় ইসির সঙ্গে বৈঠক করতে নির্বাচন কমিশনে যায় ইইউ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও ছিলেন দুজন কমিশনার ও কমিশন সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি।
সভা শেষে প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ইইউ প্রাক পর্যবেক্ষক দলের প্রধান। জানান, দুই সপ্তাহের এই সফরে তারা জানবেন এদেশের নির্বাচনী পরিবেশ সম্পর্কে। পরে হাই অথরিটিকে অবহিত করে নেয়া হবে সিদ্ধান্ত। তবে সরকারের সহযোগিতায় সন্তুষ্ট তারা।
চেলেরি রিকার্ডো বলেন,
আমরা এখানে এসেছি প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষণে। দুই সপ্তাহ থাকবো। নির্বাচন পূর্ববর্তী অবস্থা জানার চেষ্টা করবো। এদেশের সরকার আমাদের আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছে। বিষয়গুলো আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাই অফিসিয়ালকে জানাবো। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন বাংলাদেশের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবেন কিনা।
এর আগে সকালে গুলশানের ইইউ দূতাবাসে ঢাকায় সফররত ইইউ প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের সদস্যরা। ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষে বেরিয়ে এসে ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবেদ আলী বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে ইইউ। এছাড়া গত ৫টি নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে সরকারের সহযোগিতার কথা জানিয়েছে ইলেকশন মোনিটরিং ফোরাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৫:৪৮ ৪০ বার পঠিত