বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী জুন মাসেই মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (রামপাল) দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন কাজ শুরু হবে।
বাগেরহাটের রামপালে বাস্তবায়নাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ১ম ইউনিটের পরিচালন ও ২য় ইউনিটের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আগামী জুন, ২০২৩ এর মধ্যে ২য় ইউনিটের কাজ সমন্বয় করা হবে বলে সভায় আশাবাদ প্রকাশ করেন বক্তারা।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) খুলনা বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ২১তম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান (বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন) এবং ভারতের বিদ্যুৎ সচিব অলক কুমার (ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন)।
স্টিয়ারিং কমিটির সভায় বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত চলমান কার্যক্রমের অগ্রগতি ও বিদ্যুৎ রফতানিসহ বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (বিআইএফপিসিএল)-এর মাধ্যমে ভারতে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের সম্ভাবনা এবং সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের বিষয়ে কাজ চলমান আছে।
সভায় আরও বলা হয়, বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারত-বাংলাদেশ আন্তঃসংযোগ লিংকসহ জিএমআরের নেপালে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ হতে ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি স্বাক্ষর, ভুটানে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের ত্রিপাক্ষিক বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশে সেই বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়েও কাজ চলছে।
এছাড়া সভায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উচ্চ ক্ষমতার আন্তঃসংযোগ কাটিহার-পার্বতীপুর-বরানগর ৭৬৫ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন বাস্তবায়নের বিষয়সহ ক্রস বর্ডার ট্রেড ও প্রকল্পগুলোর যৌথ উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে জ্বালানি দক্ষতা প্রকল্পও আলোচনায় উঠে আসে।
এর আগে বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের ২১ তম সভা বুধবার (৩ মে) একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটি ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের ২০তম সভা গেল বছর মে মাসে ভারতের ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে কমিটির পরবর্তী সভা আগামী নভেম্বর ২০২৩ -এ ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৭:১৫ ৫৮ বার পঠিত