গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ১৭ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য নিরাপদ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ সিইডিপি’র অর্থায়নে কলেজ ক্যাম্পাসে ১১টি নিরাপদ ও সুপেয় পানির আরও ফিল্টার স্থাপন করেছে। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। ১০ টি আরো ফিল্টার কলেজের বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে স্থাপন করা হয়েছে। আরও ১টি ফিল্টার কলা ভবনের বাইরে স্থাপন করা হয়েছে। এখান থেকে পথচারী বা বহিরাগতরা নিরাপদ ও সুপেয় পানি পান করতে পারছেন।
কলেজ কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সৈকত হাবিব বলেন, আমাদের কলেজে এ অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৭ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। কলেজ ক্যাম্পাসে দীর্ঘ বছর ধরে নিরাপদ ও সুপেয় পানির অভাব ছিল । তাই আমরা যারা এখানে পড়াশোনা করি, নিরাপদ ও সুপেয় পানির কষ্টে ভুগছিলাম। কলেজ কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ দিন পর হলেও আমাদের এ কষ্ট লাঘবের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারা একাডেমিক ভবনে ১১টি পানির ফিল্টার স্থাপন করে দিয়েছে। এখান থেকে আমরা নিরাপদ পানি পান করতে পারছি। এ জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।
সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী অথৈই আক্তার ঝিলমিল বলেন, পানির অপর নাম জীবন। নিরপদ ও সুপেয় পানি থাকলে নিশ্চিতে ১ বেলা পানি খেয়ে কাটিয়ে দেওয়া যায়। এতে কলেজের ক্লাস করতে সুবিধা হয়। আমাদের কথা বিবেচনা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজ ক্যাম্পাসে ১১ টি নিরাপদ ও সুপেয় পানির আরও ফিল্টার স্থাপন করেছে। এ জন্য কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ওহিদ আলম লস্কার স্যারসহ উদ্যোক্তা শিক্ষক মন্ডলীদের ধন্যবাদ জানাই।
পানির প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোক্তা সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন বলেন, সিইডিপি’র অর্থায়নে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একাডেমিক ভবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ১১টি পানির প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এখান থেকে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ও সুপেয় পানি পান করছেন। এছাড়া একটি প্লান্ট কলা ভবনের বাইরে স্থাপন করা হয়েছে। এখান থেকে পথাচারী ও বহিরাগতরা পানি পানের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া যারা বঙ্গবন্ধু কলেজে প্রাতঃকালীন বা বৈকালিক ভ্রমণে আসেন তারাও এ পানি পান করতে পারছেন।
পানির প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোক্তা সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক ফখরুজ্জামান বলেন, ‘নিরাপদ পানি সবার অধিকার’ এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতেই আমরা ১১টি মিনি আরও প্লান্ট স্থাপন করেছি। এখান থেকে নিরাপদ ও সুপেয় পানি পান করছে শিক্ষার্থীরা। মাত্র ৫ লাখ টাকা ব্যায়ে কলেজের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য এ ব্যবস্থা করে দিতে পেরে আমরাও গর্বিত।
সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ওহিদ আলম লস্কার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের এ কলেজটিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বিস্তার ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠাই হল আমাদের প্রধান কাজ। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখানে শিক্ষার্থীদের স্মার্ট বাংলদেশের কারিগর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। তারা এখান থেকে শিক্ষার পাশাপশি অধুনিক আইসিটি প্রশিক্ষণ, খোলাধূলা, সাংস্কৃতিক চর্চা করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুঁকে ধারণ করে বড় হচ্ছে। এখানে শিক্ষার পরিবেশ করে দেওয়া হয়েছে। নিরাপদ ও সুপেয় পানির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা কলেজ ক্যাম্পাসেই রাখা হয়েছে। আমরা এ কলেজকে শিক্ষা বন্ধব কলেজ ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৩:১১ ৪১ বার পঠিত