সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : ভাঙনের কবলে পড়ার আগেই গোপনে নিলাম করার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ক্ষিদ্রচাপড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন । উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের উপস্থিতিতে নাম মাত্র উন্মুক্ত ডাক দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা স্থায়ী কমিটির সভাপতি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী সেখ , উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সাজেদুল হজ্জ পালনে দেশের বাইরে থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বরত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রত্না হান্নান সহ অন্যান্যরা জানেন না।
স্কুল সুত্র থেকে জানাযায়, বিদ্যালয়টির ভবন যমুনা নদী গর্ভে বিলিন হবার সম্বনা দেখে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভবন অপসারণ দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন পত্র দাখিল করেন। তারই ভিত্তিতে উপজেলা প্রাথমিক কর্মকর্তা নিজস্ব বলে নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি অবর্তমানে তার মনোনিত কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ভবনটির নাম মাত্র উন্মুক্ত ডাকের আয়োজন করেন। যেখানে ভবনটির সরকারি সর্বোচ্চ দর নির্ধারন করা হয় দুই লাখ ছেচল্লিশ হাজার টাকা। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সরকারি মূল্য মানের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় ঠিকাদারকে এক লক্ষ ষাট হাজার টাকায় মূল্যে দেওয়া হয়।
এবিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহমেদ নয়ন জানান, নদীতে বিলিন হবার সম্ভবনা দেখে আমরা একটি লিখিত দরখাস্ত দিয়েছিলাম। গত ২২ জুন আমাকে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ডেকে নিয়ে গিয়ে বললেন যে এখানে ভবনের নিলাম করা হয়েছে। একটি সাক্ষর দেন। আমি তার নির্দেশে সাক্ষর দিয়েছি। আমার জানা মতে ভবনটি মূল্য ধরা হয়েছিল দুই লাখ ছেচল্লিশ হাজার টাকা। কতো টাকায় তা বিক্রি হয়েছে আমার তা জানা নেই।
বিদ্যালয়ের পরিচলনা কমিটির সভাপতি রতন সরকার জানায়, যেদিন নিলাম হয়েছে তার আগের দিন আমরা একটি বৈঠক করেছি। তারপর দিন নিলাম হয়েছে।
এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রত্না খাতুন বলেন, আমি সভাপতি হলেও শিক্ষা অফিসার বা অন্য কেউ ওই বিদ্যালয়ের ভবন নিলাম হবে এই বিষয়ে আমাকে জানায় নি। শুধু আমি না আমার উপজেলা পরিষদের কেউ জানেনা। তারা যদি নিলাম করে থাকে তবে তা আমি জানি না।
আর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভবনটি যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে বিধায় তারাহুরো করে উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে তা ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত রোববার (২ রা জুলাই) দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের ভবনটি দুটি শ্রেণী কক্ষ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৮:০১ ১২৬ বার পঠিত