নতুন করে কয়লাভিত্তিক জ্বালানি উৎপাদনকে মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখছেন জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে মোহাম্মদ। এদিকে, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশকে আর্থিক সহায়তা এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউরোপের নিষেধাজ্ঞায় চরম জ্বালানি সংকটে পড়ে ইউরোপ। গত বছরের মাঝামাঝিতে জার্মানি থেকে শুরু হয়ে ইউরোপের অনেক দেশই ফেরে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে। সবশেষ জলবায়ু সম্মেলনে দরিদ্র দেশের জন্য সহায়তা তহবিল গঠনের চুক্তিতে সম্মত হলেও, কার্বন নিঃসরণ কমানো বা বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ধরে রাখার আন্তর্জাতিক চুক্তি নিয়ে কোনো সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয় কপ-২৭।
তিনদিনের সফরে জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে মোহাম্মদ এখন বাংলাদেশে। শনিবার (১ জুলাই) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। পরে ‘রোড টু সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস সামিট-২০২৩’-এ বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি। আশঙ্কা প্রতাশ করে তিনি বলেন, জ্বালানি চাহিদা মেটাতে আবারও কয়লাভিত্তিক জ্বালানির ব্যবহার কার্বন নিঃসরণ বাড়াবে।
আমিনা জে মোহাম্মদ বলেন, ‘গত বছর আমরা দেখেছি, ২০০ কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র আবারও উৎপাদনে এসেছে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। জ্বালানি নিরাপত্তার নামে এ ধরনের কাজ চলছে। আমি নিশ্চিত এর বিকল্প আছে। এতে এক বিলিয়ন মানুষকে এর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’
জণবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশকে আর্থিক সহায়তাসহ প্রযুক্তি হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চাহিদা অনুসারে অর্থায়ন এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর ছাড়া লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হবে না। জোর পদক্ষেপ ছাড়া এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও সম্ভব হবে না।
ঢাকায় অবস্থানকালে জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। রোববার (২ জুলাই) আমিনা জে. মোহাম্মদের দক্ষিণাঞ্চলে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৭:২৬ ৪৬ বার পঠিত