রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার কুর্মিটোলা এলাকায় মধ্যরাতে দ্রুতগতির প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী কলেজছাত্রীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে এক শিশু। তার পা ও পাঁজরের হাড় ভেঙেছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘাতক গাড়ি ও চালককে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার মো. বাহার উদ্দিনের মেয়ে জান্নাত আক্তার (১৮) ও মো. শামীম। নিহত জান্নাত ঢাকার একটি কলেজে সদ্য ভর্তি হয়েছিলেন।
আহত শিশুর নাম সাদিয়া আক্তার (৮)। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
জানা যায়, কুড়ির বিশ্বরোড এলাকায় আত্মীয়ের বাসায় দাওয়াত খাওয়া শেষে সাদিয়া, জান্নাত ও মো. শামীম একটি মোটরসাইকেলে এবং সাদিয়ার পরিবার আরেকটি মোটরসাইকেলে ভাষানটেকের বাসায় ফিলছিল। পথে কুর্মিটোলা এলাকায় দ্রুতগতির একটি প্রাইভেটকার সাদিয়াদের মোটরসাইলেকে ধাক্কা দেয়। এতে সবাই ছিটকে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক জান্নাতকে মৃত ঘোষণ করেন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মো. শামীম।
সাদিয়ার বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় আমার শ্বশুরের বাসায় দাওয়াত ছিলো। খাওয়াদাওয়া শেষে রাত দুইটার দিকে আমার ও ভায়রা ভাই শামীমের মোটরসাইকেলে করে ভাষানটেক এলাকার বাসায় ফিরছিলাম।
দুই মোটরসাইকেলের একটাতে আমার স্ত্রী, দুই ছেলে ও আমি ছিলাম। অন্যটিতে ভায়রা শামীম, আমার মেয়ে সাদিয়া ও শ্যালিকা জান্নাত ছিলো। কুর্মিটোলা গল্ফ ক্লাবের সামনে আসার পরেই পেছন থেকে একটি একটি প্রাইভেটকার দ্রুতগতিতে তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন সবাই। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেলে আনার পর চিকিৎসক জান্নাতকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামীমের মৃত্যু হয়। আহত সাদিয়ার বাম পা ও বুকের হাড় ভেঙেছে।
ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হুমায়ুন কবির বলেন, মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় চালককে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চালক মদ্যপ ছিলো কিনা জানতে চাইলে হুমায়ুন বলেন, গাড়িটি দ্রুত গতির ছিলো। চালক মদ্যপ ছিলেন না। তবে চালকের নাম পরিচয় জানতে চাইলে তিনি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪০:২৮ ৫০ বার পঠিত