অর্থের ঝনঝনানিতে দলবদলের বাজার উথাল-পাথাল করে দিয়েছে সৌদি আরবের ক্লাবগুলো। যার শুরুটা হয়েছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে টানার মধ্য দিয়ে। এরপর করিম বেনজেমাও পাড়ি জমান সেখানে। সেই রেশ ধরে এনগোলা কান্তে, হাকিম জিয়াস, রুবেন নেভেসরা সৌদি আরবের ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন।
সৌদি আরবের তারকা সদাইয়ে মূল নজর ছিল লিওনেল মেসিকে ঘিরে। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে বিশাল অঙ্কের আর্থিক প্রস্তাব দিয়েছিল সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল। অঙ্কটা ছিল বছরে ৪০ কোটি ইউরো বা তার চেয়েও বেশি। কিন্তু লিওনেল মেসিকে চোখে চোখে রেখেও শেষ পর্যন্ত হারাতে হয় আল হিলালকে। আর্জেন্টিনার মহাতারকা আল হিলালের প্রস্তাবটা গ্রহণ করেননি। তবে আল হিলাল শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত করেছে সেনেগালের তারকা ফুটবলার কালিদু কুলিবালিকে।
সৌদি ক্লাবে যোগ দিতে তিনি ছেড়েছেন প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসিকে। মূলত, অর্থের ঝনঝনানিতেই ইউরোপ ছেড়ে সৌদির অখ্যাত ক্লাবগুলোতে আসছে ফুটবলাররা। কেউ স্বীকার করুক বা না করুক প্রথমবারের মত সেটি স্বীকার করলেন চেলসি থেকে আল হিলালে আসা কুলিবালি।
ইউরোপ থেকে তার সরে যাওয়ার বিষয়ে কুলিবালি স্পষ্ট করে জানালেন, সৌদিতে আসার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে অর্থ।
কুলিবালি বলেন, ‘আমি এটা অস্বীকার করতে পারি না। আমি আমার পুরো পরিবারকে ভালোভাবে বাঁচতে সাহায্য করতে পারব, আমার বাবা-মা থেকে আমার কাজিন পর্যন্ত। এতে সেনেগালে আমার ক্যাপিটাইন ডু কোউর অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রমকে সমর্থন করতে পারব। ইতোমধ্যে আমার বাবা-মায়ের গ্রামে একটি ক্লিনিক তৈরি শুরু করেছি। তরুণদের সাহায্য করার জন্য আমার অনেক প্রকল্প আছে।’
অর্থের পাশাপাশি ধর্মকেও অন্যতম কারণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন সেনেগালের এই তারকা। তিনি বলেন, ‘আমি একজন মুসলিম, আমি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য একটি আদর্শ দেশে পৌঁছেছি।’
চেলসিতে নিয়মিত খেলার সুযোগ পেতেন না কুলিবালি। সৌদিতে অন্তত তার বেঞ্চে বসে থাকতে হবে না, ‘আমি কিছু না করে বেঞ্চে থাকতে পছন্দ করি না। আমি সেখানে যেতে পছন্দ করি যেখানে আমি সত্যিই চাই।’
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৩:০৫ ৪২ বার পঠিত