সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) নব নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের সাথে মতবিনিময় করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার রাতে সিলেট নগরীর ধোপাদিঘির পারের হাফিজ কমপ্লেক্সে সদ্য সমাপ্ত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী মেয়র ও কাউন্সিলরদের সাথে তিনি এ মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিসিকের নবনির্বাচিত মেয়র কাউন্সিলরদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মেয়র, কাউন্সিলর ও নগরবাসী- এ তিনপক্ষের পারস্পরিক সহযোগিতায় সিলেট মহানগরীকে এগিয়ে নিতে হবে। নগরবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ী
সকলের প্রিয় এ আধ্যাত্মিক নগরীকে একটি আদর্শ ও স্মার্ট সিটি হিসাবে গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে তিনি আহবান জানান।
তিনি বলেন, সিলেটে আমরা এমন একজন মেয়র পেয়েছি, যার সাথে সরকারের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমার বিশ্বাস- তিনি পারবেন এই সিলেটকে উন্নয়নের মাধ্যমে তিলোত্তমা নগরে পরিণত করতে।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একজন সৎ ও যোগ্য মেয়র। কাউন্সিলর হিসাবে এবার যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারাও প্রত্যেকেই যোগ্য জনপ্রতিনিধি। আপনারা নগরবাসীর সব সমস্যা সমাধান করে তিলোত্তমা সিলেটের স্বপ্ন পুরণ করতে সক্ষম হবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তার বক্তব্যে নৌকাকে বিশাল ব্যবধানে জয়ী করায় সিলেট নগরবাসীর প্রতি আবারও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, একটি তিলোত্তমা নগরীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছেন। নগরবাসীর দুর্ভোগ নিরসনে আমাদের কাজ শুরু করতে হবে। এ কাজে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় সকলে মিলে টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে একটি উন্নত নগরী গড়ে তুলতে কাজ করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠসিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহসভাপতি ড. আহমদ আল কবির, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হেলেন আহমদ, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহানা বেগম, সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামস রশিদ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা স্বেচ্ছা-সেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন কয়েস, মহানগর স্বেচ্ছা-সেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশু দাস মিঠু, তাতী লীগের সভাপতি নোমান আহমদ, সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল হাসনাত বুলবুল, মৎসজীবী লীগের সভাপতি মৃদুল কান্তি দাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ।
কাউন্সিলারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্যে রাখেন সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, বিক্রম কর সম্রাট,এ কে এ লায়েক,শেখ তোফায়েল আহমদ শেপুল, রেজওয়ান আহমদ,সায়ীদ মোঃ আব্দুল্লাহ,জগদীশ চন্দ্র দাস, মখলিছুর রহমান কামরান, তারেক উদ্দিন তাজ, আব্দুর রকিব বাবলু, সিকন্দর আলী,সান্তনু দত্ত সম্ভ,নজরুল ইসলাম মুমিন,ছয়ফুল আমিন বাকের, আব্দুল মুহিত জাবেদ,রাশেদ আহমদ,এ বি এম জিল্লুর রহমান উজ্জল, এস এম শওকত আমিন তৌহিদ, আজাদুর রহমান আজাদ, আব্দুর রকিব তুহিন, ফজলে রাব্বি চৌধুরী মাসুম, মোস্তাক আহমদ, হুমায়ুন কবির সুহিন, তাকবির ইসলাম পিন্টু, তৌফিক বকস লিপন, আব্দুল জলিল নজরুল,রায়হান আহমদ, মাজহারুল ইসলাম শাকিল, রকিব খান, নজমুল হোসেন,রুহেল আহমদ, দেলোয়ার হোসেন নাদিম, জয়নাল আবেদিন, জাহাঙ্গীর আলম, হিরন মাহমুদ নিপু, রিয়াজ মিয়া, মোঃ হেলাল উদ্দিন, আলতাফ হোসেন সুমন,ফখরুল আলম, মতিউর রহমান, সালমা সুলতানা, কুলসুমা বেগম পপি,রেবেকা বেগম রেনু, রুহেনা বেগম মুক্তা, শাহানা বেগম শানু, শাহানারা বেগম, নার্গিস সুলতানা রুমি,শারমিন আক্তার রুমি,ছমিরন নেছা, আয়শা বেগম কলি, সাজেদা বেগম, হাজেরা বেগম, ফাতেমা বেগম ও বাবলি আক্তার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫২:০৮ ৩৯ বার পঠিত