কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে টেনে আনা ডুবন্ত ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। রোববার দুপুরে মরদেহগুলো উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এসব মরদেহ সবগুলো বিকৃত হয়ে গেছে এবং এর মধ্যে ছয়জনের হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর সবকটি বিকৃত হয়ে গেছে ও পচে গেছে। এ জন্য গণনা করতে সমস্যা হচ্ছিল। প্রথমে ১১ জনের মরদেহ মনে হলেও উদ্ধারের পরে ১০ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ছয়টি মরদেহ হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। মরদেহগুলো থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।
ওসি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, কমপক্ষে ১৫ দিন আগে গভীর সমুদ্রে জলদস্যুরা ট্রলারটির মাছ–জাল লুট করে জেলেদের হাত–পা বেঁধে কুটিরে (ট্রলারে মাছ ও বরফ সংরক্ষণের কক্ষ) আটকে রেখে ট্রলারটি সাগরে ডুবিয়ে দিতে পারে। এখনও নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, গভীর সাগরে ডুবিয়ে দেওয়া ট্রলারটি আরেকটি মাছ ধরার ট্রলারে আটকে পড়েছিল। ওই ট্রলারের জেলেরা রশি দিয়ে ডুবন্ত ট্রলারটি টেনে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে নিয়ে আসেন। রোববার দুপুর দেড়টার দিকে ডুবন্ত ট্রলারটি কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক (বিমানবন্দরের পশ্চিমে) চ্যানেলে পৌঁছালে মৃত ব্যক্তির হাত-পা ভেসে উঠতে দেখা যায়। তাতে ভয় পেয়ে টেনে আনা ট্রলারের জেলেরা সটকে পড়েন। স্থানীয় লোকজন থানায় খবর জানালে দুপুর দুইটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তারা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। পরে একে একে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৪২:১০ ৫৯ বার পঠিত