রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩

সেই মুরুব্বি দেশে কি গণতন্ত্র ও মানবাধিকার আছে : চট্টগ্রামে হুইপ স্বপনের প্রশ্ন

প্রথম পাতা » চট্রগ্রাম » সেই মুরুব্বি দেশে কি গণতন্ত্র ও মানবাধিকার আছে : চট্টগ্রামে হুইপ স্বপনের প্রশ্ন
রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩



সেই মুরুব্বি দেশে কি গণতন্ত্র ও মানবাধিকার আছে : চট্টগ্রামে হুইপ স্বপনের প্রশ্ন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি প্রশ্ন তুলেছেন, যে মুরুব্বি দেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে তাদের দেশে কি গণতন্ত্র ও মানবাধিকার আছে? তাদের কিছু এদেশীয় এজেন্ট যারা ’৭১ সালে আমাদের সাথে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারাই আমাদের শত্রু হয়ে উঠেছে।
তিনি আজ রোববার সকালে রেউনবো কমিউনিটি সেন্টারে ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এই পরিস্থিতিতে আবার আরেকটি ’৭১ সৃষ্টির জানান দেওয়া হচ্ছে। যাদেরকে আমরা ৭১ পরবর্তী সময়ে আঘাত হানতে পারিনি, তাদেরকে এবারই পাল্টা আঘাত দিতে হবে। তাহলেই অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ সম্পন্ন হবে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ যে সাংগঠনিক ভিত্তিতে শক্তিশালী হয়েছে এটার প্রাপ্য মর্যাদা অবশ্যই দলীয় সভাপতি মূল্যায়ন করবে। এক্ষেত্রে কোন নেতৃত্বের দলাদলি ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার অবকাশ নেই। যারা যোগ্য তারাই পদ পদবিতে আসবে। এদেশের শুভ শক্তি আওয়ামী লীগ সকল অশুভ শক্তিকে ’৭১ এর মতই প্রতিহত করবে।
উদ্বোধকের বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, আমাদেরকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষা করে তৃণমূল স্তর থেকেই নেতৃত্ব তুলে এনে সংগঠনকে সামনের দিকে এগিয়ে নেব। আমাদের সামনে প্রতিক্রিয়াশীলতা দুর্যোগের ঘনঘটা। তা মোকাবেলার জন্য এখন থেকেই ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা নিজেদের মধ্যে হানাহানি ও কাদা ছোঁড়াছুড়ি না করে শত্রুকে চিহ্নিত করি। এই শত্রু যদি দলের ভিতরে ঢুকে থাকে তাহলে তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। এই কাজটা তৃণমূল স্তর থেকে করতে হবে। কারণ আগামী দিনগুলো কঠিন দিন। কেননা, আমরা লক্ষ্য করছি বিদেশি মুরুব্বির ইন্ধনে বিএনপি-জামাত আবার ফনা তুলেছে। এই ফনা ছোবল মারার আগেই তাকে নির্মূল করার জন্য নেত্রী যেদিন নির্দেশ দেবেন সেদিন থেকেই আমরা প্রস্তুত।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, খুব বেশি আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে। একটি গরীব দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। এই অর্জনকে যারা ধাক্কা দিতে চায় বা অস্বীকার করতে চায় তারা পরাজিত ’৭১ এর প্রতিপক্ষ অপশক্তি। এদের বিরুদ্ধেই চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যে সাংগঠনিক শক্তি ও ক্ষমতা তাকে কাজে লাগিয়ে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার যেসকল জনগণকে নানাভাবে সুবিধা ও সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে দলের কাছাকাছি টানতে হবে। তাহলে স্থানীয় নেতৃত্বের সবচেয়ে বড় সফলতা হবে। এই কাজটুকু প্রত্যেককেই রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা থেকে করতে হবে।
ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তাহেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, এমএ লতিফ এমপি, কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুন হাসান বুলু, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, আবু তাহের, আসলাম হোসেন, জিয়াউল হক সুমন, ফরিদ আহমদ বাবর, এড. শামসুল আলম, মো. সেলিম আফজল, শারমিন সুলতানা ফারুক।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে উপস্থিত কাউন্সিলরদের সমর্থন ও সর্বসম্মতিক্রমে সুলতান নাছির উদ্দীনকে সভাপতি ও সেলিম আফজলকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২:২১:২৭   ৪০ বার পঠিত