ইতালীয় দ্বীপ ল্যাম্পেডুসার কাছে একটি অভিবাসী বহনকারী
নৌকাডুবির ঘটনায় ৪০ জনেরও বেশি লোক নিখোঁজ হয়েছে। জাতিসংঘ এ কথা জানায়।
ইতালিতে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি চিয়ারা কার্ডোলেটি বলেন, বৃহস্পতিবার জাহাজডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্যে একটি নবজাতক শিশু ছিল।
জাতিসংঘ অভিবাসন সংস্থা আইওএম-এর মুখপাত্র ফ্লাভিও ডি গিয়াকোমো শুক্রবার বলেন, ক্যামেরুন, বুরকিনা ফাসো এবং আইভরি কোস্ট থেকে ৪৬ জন অভিবাসী নিয়ে তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্স থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর তীব্র বাতাস ও প্রবল ঢেউয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। খবর এএফপি’র।
‘কয়েকজন জীবিতকে ল্যাম্পেডুসায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং অন্যদের তিউনিসিয়া ফিরিয়ে আনা হয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘নিখোঁজদের মধ্যে সাতজন নারী ও একজন নাবালক। জীবিতরা সবাই প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ।’ তিনি বলেন, ‘আমরা নভেম্বর থেকে তিউনিসিয়ার রুট দিয়ে তিউনিসিয়ানদের তুলনায় সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে বেশি অভিবাসীর আগমন লক্ষ্য করেছি।’ তিনি বলেন, সাব-সাহারান আফ্রিকার লোকেদের তিউনিসিয়ার বৈষম্য থেকে পালিয়ে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
ইতোমধ্যে ইতালি, গ্রীস এবং স্পেনে অভিবাসী নৌকা নিয়ে মারাত্মক জাহাজ ধ্বংসের কথা উল্লেখ করে কার্ডোলেটি টুইটারে লিখেছেন, ইউরোপের দরজায় মৃতদের গণনা চালিয়ে যাওয়া অগ্রহণযোগ্য।
তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার (৯০ মাইল) দূরবর্তী ইতালীর দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ ল্যাম্পেডুসা ভূমধ্যসাগর অতিক্রমকারী অভিবাসীদের প্রধান প্রবেশ পথ গুলোর একটি। ইউএনএইচসিআর-এর তথ্য অনুসারে গত বছর, ইতালির মোট ১,০৫,০০০ জনের মধ্যে ৪৬,০০০ এরও বেশি লোক সেখানে পৌঁছায়।
সাম্প্রতিক সময়ে অভিবাসী নৌকার জাহাজ ডুবির ঘটনা বেড়েছে। ইউরোপীয় সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের মতে, জুনের মাঝামাঝি সময়ে মধ্য ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশকারী অভিবাসীর সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০২৩ সালে ‘দ্বিগুণেরও বেশি’ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৯:৫৩ ৫৮ বার পঠিত