রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

লামিয়ার শোকাহত পরিবারের পাশে তারেক রহমান

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » লামিয়ার শোকাহত পরিবারের পাশে তারেক রহমান
রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫



লামিয়ার শোকাহত পরিবারের পাশে তারেক রহমানচব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে শহীদ জসিম উদ্দিনের কন্যা লামিয়া আক্তারের শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে আজ রোববার বিকেলে তিনি পটুয়াখালীর দুমকিতে একটি প্রতিনিধি দল পাঠান। প্রতিনিধি দলটি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার দক্ষিণ পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের নলদোয়ানী গ্রামে যায়।

এসময় লামিয়া আক্তারের পরিবারের প্রতি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন রুহুল কবির রিজভী। পাশাপাশি শহীদ জসিম উদ্দিনের বৃদ্ধ পিতা সোবহান হাওলাদারের (লামিয়া আক্তারের দাদা) হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন তিনি।

তারেক রহমানের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন- ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই জামান সেলিম, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমানউল্লাহ আমান।

এদিকে, স্থানীয় স্কুল মাঠে আজ রাত পৌনে ৮টায় লামিয়া আক্তার-এর জানাজায় রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি অংশ নেন। এছাড়া পটুয়াখালী জেলা, দুমকি উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানাজায় অংশ নেন।

লামিয়া আক্তারের জানাজা শেষে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে শহীদ তার পিতা জসিম উদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন প্রতিনিধি দলটি।

প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে রাজধানী ঢাকায় শেখেরটেকের ৬ নম্বর রোডের ভাড়া বাসা থেকে লামিয়া আক্তারকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে শহীদ জসীম উদ্দিনের কন্যা তার বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে যাচ্ছিলেন। পথে নলদোয়ানী থেকে দুর্বৃত্তরা পিছু নেয়। হঠাৎ পেছন থেকে তার মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী জলিল মুন্সির বাগানে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ১৭ বছরের ওই কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। এমনকি তার নগ্ন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা।

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজন গ্রেফতার হয়েছিল। এছাড়া যারা চিহ্নিত অপরাধী তারা ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ বিষয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই হতাশার মধ্যে ছিলেন ভুক্তভোগী কিশোরী। এসব হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২:২৭:৪৫   ৯ বার পঠিত