দেশের সব ফুটবল একাডেমি একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় আনা হবে। নিবন্ধিত বা চুক্তিদ্ধ খেলোয়াড়দের দলবদলে অর্থ পাবে একাডেমিগুলো। ৮ বিভাগের একাডেমি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা জানান বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। এশিয়ান কাপে খেলা নিশ্চিত করা এবং বিশ্ব ফুটবলে জায়গা নিশ্চিত করতে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ফুটবল ডেভলপমেন্টে একাডেমির বিকল্প নেই। আবার শুধু একাডেমি পরিচালনা করলেই হবে না, নিশ্চিত করতে হবে মানসম্মত কোচিং। যে বিষয়টি এবার বেশ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে ফুটবল ফেডারেশন।
লম্বা সময় ধরে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কোচ তৈরি করছে বাফুফে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা একাডেমিগুলোতে তাদের কাজে লাগাতে চায় ফেডারেশন। এজন্য একটি নথিভূক্ত কারিকুলাম প্রণয়ন নিয়ে কাজ করছেন বাফুফে প্রধান তাবিথ আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) থেকে স্বীকৃত পাওয়া একাডেমির নিবন্ধিত খেলোয়াড় বা চুক্তিদ্ধ খেলোয়াড় যখন কোনো লিগে বা ক্লাবে ট্রান্সফার হবে বা কেনাবেচা হবে তার আর্থিক অনুদান একাডেমিগুলো পাবে।’
আপাতত এশিয়ান কাপ খেলার প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগুচ্ছে দেশের ফুটবল। যা বাস্তবায়নের জন্য দরকার মানসম্মত ফুটবলার। এ জন্য একাডেমি তৈরি করে তার গুনগত মান নিশ্চিত করার বিকল্প নেই বলে জানান তাবিথ আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘অনেকের স্বপ্ন আমরা বিশ্বকাপও খেলব। কিন্তু কীভাবে এটার বাস্তবায়ন হবে? খেলোয়াড় ছাড়া তো কোনো দল হতে পারে না। পাইপলাইন ছাড়া তো কোনো খেলোয়াড় হতে পারে না। একাডেমি ছাড়া কোনো পাইপলাইন হতে পারে না। তাই সময় এসেছে যেখান থেকে খেলোয়াড়দের যাত্রা, সেখানে আমরা কাজগুলো আগে শুরু করব।’
প্রান্তিক পর্যায়ের ফুটবল এগিতে নিতে রাজশাহীতে বাফুফের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় কর্মশালা। যেখানে অবকাঠামো, প্রশিক্ষণ, আর্থিক এবং প্রযুক্তিগতসহ নানা সুবিধার বিবেচনায় ক্যাটাগরি করে সনদ বিতরণ করা হয় ২৮৫টি একাডেমির মাঝে।
২০২০ সাল থেকে বাফুফে সারাদেশে একাডেমি নিবন্ধন শুরু করে। পাঁচ বছরের লম্বা প্রক্রিয়া শেষে এক তারকা বিশিষ্ট ২৬৮ ও দুই তারকা বিশিষ্ট ১৭টি একাডেমির নিবন্ধন দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৭:৩০ ৪ বার পঠিত