পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে কুয়েতের পশুর হাটগুলোতে জমে উঠেছে বেচাকেনা। নিজেদের সাধ্যমতো কিনছেন কোরবানির পশু। স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও নিচ্ছেন কোরবানির প্রস্তুতি।
কুয়েতে সেবদি, কাবাদ, শোয়েখসহ সরকার নির্ধারিত বিভিন্ন জায়গায় পশুর বাজার জমে উঠেছে। এখানকার অধিকাংশ পশু বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা।
সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, মিশর, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। স্থানীয়ভাবেও বিভিন্ন খামারে পশু পালন করা হয়। তবে ঈদকে ঘিরে কয়েকগুণ বেড়ে যায় পশু আমদানি।
পশু আমদানিকারক দাদন সিকদার সময় সংবাদকে জানান, তারা পাঁচ ছয় মাস আগে বিভিন্ন দেশ থেকে পশু এনে লালন পালন করে মোটাতাজা করে কুয়েতের মার্কেটে বিক্রি করেন। তার এখানে বাংলাদেশি ক্রেতা বেশি। এছাড়া স্থানীয় নাগরিকসহ পাকিস্তান, ভারত মিশরের ক্রেতা আছে। নিজে বাংলাদেশি হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অনেক ছাড় দিয়ে থাকেন বলে জানান।
গরু, ছাগল, উট এবং দুম্বাসহ বেচাকেনা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের নানা দেশের পশু। দর কষাকষিতে পছন্দসই পশুটি কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। এরই মধ্যে অনেকে আবার পছন্দের পশু কিনে খামারেই রেখে আসেন।
কুয়েতে বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, গরুর মূল্য কিছুটা কম হলেও দুম্বার মূল্য তুলনামূলক বেশি। একটি গরুর মূল্য ৩৫০ দিনার দিনার থেকে শুরু, আর একটি দুম্বার মূল্য ৫০ দিনার থেকে শুরু।
কুয়েতে বর্তমানে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির উপরে উঠা নামা করছে। এই গরমকে উপেক্ষা করে চলছে কোরবানি পশু কেনা, চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। কেউ একা আবার অনেকে কয়েকজন মিলে অংশিদারের ভিত্তিতে পশু কোরবানি করে থাকেন থাকেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও চলছে ঈদের প্রস্তুতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৯:৫৫ ৫৪ বার পঠিত