শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩

রূপগঞ্জে নারীকে গলা কেটে হত্যা: দুই আসামীর যাবজ্জীবন

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » রূপগঞ্জে নারীকে গলা কেটে হত্যা: দুই আসামীর যাবজ্জীবন
শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩



রূপগঞ্জে নারীকে গলা কেটে হত্যা: দুই আসামীর যাবজ্জীবন

রূপগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নূর বানু (৬০) নামে এক নারীকে করাত দিয়ে গলা কেটে হত্যার মামলায় দুই আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। সোমবার (২০ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আসামীদের উপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন।

আসামীরা হলেন,রূপগঞ্জের গন্ধবপুর এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে কামরুজ্জামান ওরফে কামু (৪০) ও একই এলাকার মৃত নূরু মিয়ার ছেলে রুবেল হোসেন (৩৪)। তারা নিহত নূর বানুর প্রতিবেশী। তবে এই রায় সন্তুষ্ট হয়নি উল্লেখ করে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন বলে জানান নিহতের স্বজনরা।

নিহতের স্বজনরা জানান, রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার গন্ধর্বপুর গ্রামের নূর বানুর প্রায় দুই শতাংশ জমি দখল করে রাখে প্রতিবেশী দুই ভাই জাহাঙ্গীর ও রুবেল। এ নিয়ে গ্রামে বেশ কয়েকবার বিচার সালিশ হলেও অভিযুক্তরা তা না মানায় এর কোন সমাধান হয়নি। তবে বিচার সালিশের কারণে প্রায় সময় নূর বানুকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকিও দিয়েছে তারা। পরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৩০ জুন নূর বানুকে করাত দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে অভিযুক্ত দুই ভাই ও তাদের সহযোগীরা। এ ঘটনার পরদিন ১ জুলাই নিহতের ছেলে ইলিয়াস মিয়া বাদী হয়ে জাহাঙ্গীরের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করলে জামিনে থাকা অবস্থায় মূল আসামী জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে অপর দুইজনকে আসামী করে ২০২২ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামীদের মধ্যে কামরুজ্জামান কামু হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দেন।

তবে এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।

নিহতের ছেলে ও মামলার বাদী ইলিয়াস মিয়া জানান, সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও জবাবনবন্দিতে আসামিরা দোষী প্রমানিত হয়েছে, তাই আমরা আশা করেছিলেন তাদের ফাঁসির রায় হবে। তবে এই রায়ে আমরা হতাশ। ন্যায়বিচার পেতে আমরা হাইকোর্টে আপিল করব।

নিহত নূর বানুর মেয়ে সেলিনা আক্তার বলেন, আমার মাকে নির্মমভাবে করাত দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে। আসামিরা স্বীকারও করেছে। তবে কেন এই সাজা হলো। আমরা আশা করছিলাম ফাঁসি হবে। কিন্তু আমরা ন্যায় বিচার পাইলাম না।

আদালত এই মামলায় ঊনিশজনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রায় দিয়েছেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, এই মামলায় আসামিদের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালত এই মামলায় ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে এই রায় দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪১:৪২   ৫৫ বার পঠিত