ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অস্ত্র, মাদক ও বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। বুধবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাত ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত পৌর সদরের ওয়াবদা মোড়ে কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্সে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্সের ভবনের তৃতীয় ও ষষ্ঠ তলায় তল্লাশি চালিয়ে, অস্ত্র, মাদক ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভবনের দুজন কর্মচারীকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র ওয়াবদা মোড়সংলগ্ন কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্সে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও স্থানীয় থানা পুলিশ। অভিযানে ভবনটির তৃতীয় তলার পুলক্লাবের একটি গোপন লকার থেকে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুটি ওয়াকি টকি ও একটি দূরবীনসহ নানা ধরনের সামরিক সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
পরে একই ভবনের ৬ তলার মালিকের ছেলে কাজী আব্দুল্লাহ আল রশিদের একটি কক্ষ থেকে একটি এয়ারগানসহ কিছু পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযানকালে কাজী আব্দুল্লাহকে পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি পলাতক থাকায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার দুই কর্মচারী আকিদুল ইসলাম এবং ভবনের তিনতলায় অবস্থিত রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার কাজী মুশফিককে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্স ভবনটি ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলামের ভাই ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী হারুন অর রশিদের মালিকানাধীন। তবে ভবনটি পরিচালনা করেন কাজী হারুন অর রশিদের বড় ছেলে কাজী আব্দুল্লাহ আল রশিদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডারের নেতৃত্বে কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্স থেকে অস্ত্র, মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রকৃত অপরাধীকে গ্রেফতার করতে তৎপর রয়েছে। যৌথবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১১:২৯ ৪ বার পঠিত