সন্ত্রাস দমন ও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে চলছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে বিশেষ এ অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী। ওইদিন দিন থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেল পর্যন্ত ১৪ দিনে মোট ৭ হাজার ৩১০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন বিশেষ এ অভিযানে।
এর মধ্যে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সারাদেশে ৪৬১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। এছাড়া এই সময়ে অন্যান্য অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ হাজার ৬৫০ জনকে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
গত ২৪ ঘণ্টার বিশেষ অভিযানে ৪৬১ জনকে গ্রেপ্তার করা ছাড়াও বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে আছে একটি বিদেশি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি, দুটি এলজি, একটি শুটারগান ও একটি সামুরাই।
প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হকের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে আহত হন অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের দাবি, গতকাল রাতে কাছে খবর আসে, ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হচ্ছে। এটি শোনার পর প্রতিহত করতে শিক্ষার্থীরা রওনা হয়। দ্রুত ১৫ থেকে ২০ জন ঘটনাস্থলে চলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িটিতে লুটপাট হচ্ছে। এ সময় মাইকে ঘোষণা দিয়ে শত শত মানুষকে জড়ো করা হয়। অন্য শিক্ষার্থীরা আসার আগেই ওই শিক্ষার্থীদের কয়েকজনকে বাসার ছাদে নিয়ে পেটানো হয়। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও পেটায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর জেলা সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল মাহিম ওইদিনের ঘটনার ব্যাপারে জানান, আ ক ম মোজাম্মেল হকের ধীরাশ্রমের বাড়িতে লুটপাট হচ্ছে, এমন খবরে লুটপাট ঠেকাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়। পরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও এলাকাবাসী তাদের ওপর হামলা চালায়।
এদিকে এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গাজীপুরসহ সারাদেশে শুরু হয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। ৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকেই সাড়াশি অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ২০:০৩:২৭ ৭ বার পঠিত