যে দল ৩৬ ওভারের মধ্যেই ৭ উইকেট হাতে রেখে ২০০ রানের গণ্ডি পেরোয়, তাদের জন্য আরও ১৫০ রান করা অসম্ভব কিছু নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য তো কাজটি ছিল ডালভাতের মতো, কারণ ব্যাটিংয়ের জন্য অপেক্ষমান ছিলেন ডেভিড মিলার, এইডেন মারক্রাম ও রসি ফন ডার ডুসেনের মতো বিধ্বংসী ক্রিকেটাররা। করাচির মতো রানপ্রসবা স্টেডিয়ামে প্রোটিয়ারা তা করতে পারল না, ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে উঠাল ৩১৫ রান।
জিততে হলে ৩১৬ রান করতে হবে আফগানিস্তানকে।
টসের সময় আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি আশা করেছিলেন, পাওয়ারপ্লেতেই তার বোলাররা দক্ষিণ আফ্রিকার কয়েকটি উইকেট ফেলে দিয়ে মোমেন্টাম এনে দেবেন। কিন্তু ১০ ওভারের মধ্যে প্রোটিয়াদের একটির বেশি উইকেট পড়েনি, আফগানরাও মোমেন্টাম পায়নি। ৫.১ ওভারের সময় টনি ডি জর্জি ১১ রান করে ফেরার পর টেম্বা বাভুমার সঙ্গে ১৪৭ রানের লম্বা জুটি গড়েন রায়ান রিকেল্টন।
বাভুমা ৫৮ রান করে আউট হলেও ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন রিকেল্টন। ১০৩ রান করার পর রশিদ খানের অসাধারণ এক থ্রোয়ে আউট হন তিনি। অনেকটা স্ট্রেট-জোনে বল ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেলের জন্য পপিংক্রিজ ছেড়েছিলেন রিকেল্টন, রশিদ বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দ্রুত গুরবাজের হাতে পাঠিয়ে দেন। প্রোটিয়া ওপেনার পপিংক্রিজে ব্যাট নিয়ে গেলেও বেল পড়ার আগে সেটা মাটি স্পর্শ করেনি। ১০৬ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৭ চার ও ১ ছয়ে। প্রোটিয়াদের প্রথম দুটি উইকেটই নেন মোহাম্মদ নবি।
সর্বোচ্চ ২টি ছক্কা মারা রসি ফন ডার ডুসেন একশর বেশি স্ট্রাইকরেটে ৫২ রান করে আউট হন। এরপর রীতিমতো একটা টি-২০ ইনিংস খেলেন এইডেন মারক্রাম, যদিও শুরুর দিকে একটু রয়েসয়ে খেলছিলেন তিনি। ২৪ বলে ২৪ রান করার পরই ঝড় তুলেন। কিন্তু অন্যপ্রান্তে তাকে ঠিক সঙ্গটা কেউ দিতে পারেননি। যাকে সবচেয়ে বেশি বিধ্বংসী ভাবা হয়, সেই ডেভিড মিলার ১৮ বলে ১৪ করে আউট হন সীমানার কাছে কাছে তার দারুণ ক্যাচ ধরেন রহমত শাহ। পরের ওভারেই আজমতউল্লাহকে উইকেট দিয়ে বিদায় নেন মার্কো ইয়ানসেন। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের গতিও কমে যায়।
৩৩ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করা মারক্রাম ৩৬ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন মারক্রাম। এই ইনিংসের মাধ্যমে প্রোটিয়াদের মধ্যে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্রুততম অর্ধশতকের মালিক বনে গেলেন। উইয়ান মুল্ডার করেন ৬ বলে ১২। আফগানদের হয়ে নবি ২, ফজলহক ফারুকী, আজমতউল্লাহ ও নুর আহমেদ একটি করে উইকেট পান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩৫:২৭ ৬ বার পঠিত