সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে ২৩ কুর্দি যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে তুরস্ক। রোববার তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে কুর্দি যোদ্ধাদের হত্যার এই দাবি করা হয়েছে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, সিরিয়ার কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়া ও অবৈধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ২৩ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে তুরস্কের সামরিক বাহিনী।
সিরিয়ার কুর্দিপন্থী ওয়াইপিজি মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সম্প্রসারিত গোষ্ঠী হিসেবে দেখে তুরস্ক। এই গোষ্ঠীটি ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্ক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে। ওয়াইপিজির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের (এসডিএফ) সমর্থন রয়েছে।
তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় রয়েছে পিকেকে। আঙ্কারা বারবার তার ন্যাটো মিত্র ওয়াশিংটন এবং অন্যদের প্রতি ওয়াইপিজির প্রতি সমর্থন প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে আসছে।
গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর তুরস্ক-সমর্থিত সিরিয়ার ক্ষমতাসীন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে স্থানীয় মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর মাঝে ব্যাপক বৈরীতা তৈরি হয়েছে। এর মাঝে সিরিয়ায় কুর্দিপন্থী যোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণের পরামর্শ দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, কুর্দি যোদ্ধারা যদি অস্ত্র সমর্পণ না করেন, তাহলে তাদের মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে।
সিরিয়ায় তুর্কি বাহিনী ও তাদের মিত্ররা বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে সেখানে কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে আঙ্কারা বারবার জোর দিয়ে বলেছে, কুর্দিপন্থী ওয়াইপিজি মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে অবশ্যই বিলুপ্ত করতে হবে। তুরস্ক বলেছে, সিরিয়ার ভবিষ্যতে এই গোষ্ঠীর কোনও স্থান নেই। সিরিয়ায় নেতৃত্বে পরিবর্তন ঘটায় দেশটির কুর্দিপন্থী প্রধান প্রধান উপদলগুলো কিছুটা আড়ালে চলে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৪:৩৮ ৩ বার পঠিত