মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব ঘাটতি ১৫৯ কোটি টাকা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব ঘাটতি ১৫৯ কোটি টাকা
মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩



হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব ঘাটতি ১৫৯ কোটি টাকা

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসে হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব আহরণে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। একই সময়ে ৫৪৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৩৮৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। বন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানি কমায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণ হয়নি বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরের তুলনায় খানিকটা বাড়িয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে ৬০৬ কোটি ২৮লাখ টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সে মোতাবেক অর্থবছরের প্রথম জুলাই মাসে বন্দর থেকে ৪২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ২৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আগস্ট মাসে ৪৯ কোটি ছয় লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ৩৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে ৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ৩৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। অক্টোবর মাসে ৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। নভেম্বর মাসে ৫৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ৪৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ডিসেম্বর মাসে ৫০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ২৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

এদিকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৪৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ২৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ২৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। মার্চ মাসে ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৫৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, এপ্রিল মাসে ৬২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩৪ কোটি ১২ লাখ টাকা ও মে মাসে ৪১ কোটি ২৫ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপ-কমিশনার বায়জিদ হোসেন বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণ না হওয়ার একমাত্র কারণ অধিক শুল্কমুক্ত যেসব পণ্য আমদানি হতো সেসব পণ্যের আমদানির পরিমাণ কমেছে। অর্থবছর শেষ হতে আরও দুই সপ্তাহ সময় আছে। তবে সময় থাকলেও রাজস্ব আহরণের যে মাত্রা তাতে এনবিআরের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে না। কারণ জিরার আমদানি কমেছে। এলাচের আমদানি অনেক কম। পাথর আমদানি নেই বললেই চলে। পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। এ ছাড়া চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করায় রাজস্ব আয় কমেছে। তবে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে চলতি মাসে রাজস্ব আহরণ কিছুটা বাড়বে। তবে তা দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব না।

বাংলাদেশ সময়: ১১:২৬:৫৯   ৪৮ বার পঠিত