বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ৪১ বিডিআর জওয়ান

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ৪১ বিডিআর জওয়ান
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫



কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ৪১ বিডিআর জওয়ান

পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক মামলায় কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৪১ বিডিআর জওয়ান মুক্তি পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে তারা কারাগার থেকে বের হন। সকাল থেকে কারাগারের বাইরে তাদের অপেক্ষায় ছিলেন স্বজনরা।

এদিকে আরও ১০ জন বিডিআর সদস্যকে মুক্তি নির্দেশ দিয়েছে আদালত যারা আজই মুক্তি পাচ্ছেন।

সকালে অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে বিডিআর জওয়ান মুনসুর আলীর মেয়ে মালিহা জান্নাতুনকে। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে হরিপুরে। বাবা যখন জেলে যান তখন তার বয়স মাত্র ৩ মাস। এখন রনহাট্রা চৌহদ্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, বলেন, আমার মা জামনুর নাহারসহ খালাদের নিয়ে সকাল থেকে জেলখানার সামনে অপেক্ষায় আছি। আমার বাবা ১৬ বছর পর জেল থেকে মুক্তি পাওয়ায় আমরা অনেক আনন্দিত।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহী জওয়ানরা সংস্থাটির সদর দপ্তর রাজধানীর পিলখানায় নারকীয় তাণ্ডব চালায়। তাদের হাতে প্রাণ হারান ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ ব্যক্তি।

এই বিদ্রোহের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দুই কমিটির প্রতিবেদনে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার বিচার সেনা আইনে করার সুপারিশ করা হলেও উচ্চ আদালতের মতামতের পর সরকার প্রচলিত আইনেই এর বিচার করে।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। এর একটি ছিল হত্যা মামলা আর অন্যটি বিস্ফোরক আইনের মামলা।

খুনের মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর ২৭৮ জন খালাস পান। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর এই মামলায় হাইকোর্টের আপিলের রায়ও হয়ে যায়।

অপরদিকে বিস্ফোরক মামলায় ৮৩৪ জন আসামি রয়েছে। মামলাটি হত্যা মামলার সঙ্গে বিচার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৫:৪৫   ৩ বার পঠিত