প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ মঞ্চের আহ্বায়ক সাবের হোসের চৌধুরী এমপি বলেছেন, তরুণদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা প্রয়োজন।
আজ শনিবার কমলাপুর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার মিলনায়তনে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের করণীয়’ শীর্ষক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় তামাকমুক্ত বাংলাদেশ মঞ্চ এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
সাবের হোসের চৌধুরী বলেন, জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তাই তামাকের ভয়াল থাবা থেকে জনসাধারণ এবং তরুণদের বাঁচাতে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাম্পেইন ফর ট্যোবাকো ফ্রি কিডস্’র এডভোকেসি ম্যানেজার (সিটিএফকে) আতাউর রহমান মাসুদ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় তিন কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। আর ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। এ ছাড়া তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে দেশে প্রায় এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন তামাকমুক্ত বাংলাদেশ মঞ্চের সমন্বয়ক নাইমুল আজম খান। এছাড়াও সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়ার (রিজভী), বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দীন ফারুক এবং অনলাইনে যুক্ত ছিলেন ক্যাম্পেইন ফর ট্যোবাকো ফ্রি কিডস্’র ভাইস প্রেসডেন্ট বন্দনা সাহ।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, তামাকপণ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য তামাকপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে নিতে হবে। একই সঙ্গে তামাকের ক্ষতিকর দিকসম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। তাহলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব।
এ কে আজাদ খান বলেন, তামাকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে শিক্ষকরাই মূল ভূমিকা রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যুক্ত হলেও দেশের উন্নয়নের মুল চালিকাশক্তি যুব সমাজ নানাবিধ নেশা আসক্তিতে জড়িয়ে পড়েছে। বিশেষতঃ তামাক সেবনের মাত্রা মারাত্মক বৃদ্ধি পেয়েছে। তরুণ সমাজের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা না গেলে দেশ ভবিষ্যতে ভয়াবহ এক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। তাই দ্রুত বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:০৬:১৯ ৪৪ বার পঠিত