মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বাশার আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির পর একটি ’অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সিরীয়দের নেতৃত্বে’ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, দেশটির জনগণকে অবশ্যই তাদের ভবিষ্যত নির্ধারণের সুযোগ দিতে হবে। এএফপি এ খবর জানায় ।
গত ৮ ডিসেম্বর হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এর নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীরা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক দখল করে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের দীর্ঘ দিনের শাসনের অবসান ঘটায়।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, আসাদের মিত্র, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বিবৃতিতে সিরিয়া এবং এর প্রতিবেশীদেরকে আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ন করতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ’এই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার উচিত সিরিয়ার সব নাগরিদের বৈধ আকাঙ্খা পূরণ করা, তাদের সবাইকে রক্ষা করা এবং তাদের শান্তিপূর্ণ, স্বাধীন এবং গণতান্ত্রিকভাবে নিজেদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে সহযোগিতা করা উচিত।’
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা ’সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, ঐক্য এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং এই নীতিগুলোকে সম্মান করার জন্য সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।’
নিরাপত্তা পরিষদ, সিরিয়া এবং এর প্রতিবেশীদের পারস্পরিকভাবে এমন কোনো পদক্ষেপ বা হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে যা একে অপরের নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
আসাদ চলে যাওয়ার পরেও সংঘাত শেষ হয়নি, উত্তরে তুর্কি-সমর্থিত এবং কুর্দি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের কথা তুলে ধরে সিরিয়া বিষয়ক জাতিসংঘ দূত সতর্ক করার পরপরই এই বিবৃতি এসেছে।
জাতিসংঘের সিরিয়া-বিষয়ক বিশেষ দূত গেইর পেডারসেন ইসরায়েলের জন্য নিরাপত্তা পরিষদে অধিকৃত সিরিয়ার গোলানে সমস্ত বসতি স্থাপনের কার্যক্রম বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে নিষেধাজ্ঞার অবসান দেশটিকে সহায়তা করার মূল চাবিকাঠি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১২:৫০ ২ বার পঠিত