আফগানিস্তানকে হারিয়ে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিল বাংলাদেশ। শনিবার (১৭ জুন) টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে টাইগাররা। রহমত শাহদের ৬৬২ রানের টার্গেট দিয়ে লিটন দাসের নেতৃত্বে দল জিতেছে ৫৪৬ রানে।
টেস্টে রানের হিসাবে বাংলাদেশের চেয়ে বড় ব্যবধানে জয় আছে আর মাত্র দুটি। ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়াকে ৬৭৫ রানে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। এর ছয় বছর পর ইংল্যান্ডকে ৫৬২ রানে হারায় অজিরা। তালিকার চতুর্থ স্থানেও আছে অস্ট্রেলিয়ার নাম। ১৯১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৩০ রানে জিতেছিল তারা।
মিরপুরে ৬৬২ রানের বিশাল টার্গেট দিয়ে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। সফরকারী দল তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করার আগে ২ উইকেট তুলে নেয় লিটন কুমার দাসের নেতৃত্বাধীন দল। চতুর্থ দিনের শুরুতেই বল করতে আসেন এবাদত। প্রথম ওভারে কোনো উইকেট না পেলেও মাত্র এক রান খরচ করেন বাংলাদেশ পেসার। শরিফুল ইসলাম নিজের ওভারে দেন ২ রান। পরের ওভারেই নাসির জামালের উইকেট তুলে নেন এবাদত।
এরপর আফগানদের আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে দেয়নি টাইগারদের পেস বিভাগ। নাসির জামাল মাঠ ছাড়ার সময় দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীদের দলীয় রান ছিল ৪৮। ৬৫ রানের মাথায় শরিফুল নেন আফসার জাজাইয়ের উইকেট। ৭৮ রানে এ পেসার শিকার করেন বাহির শাহকেও। বাহির ৭ ও আফসার জাজাই করেন ৬ রান। শেষ দিকে জহির খান রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়লে জয় নিশ্চিত হয় টাইগারদের।
উইকেটের মিছিলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন ওয়ানডাউনে নামা রহমত শাহ। দলীয় ৯১ রানে তাকে তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। ৭৩ বলে ৩০ রান করেন আফগান ব্যাটার। নিজের পরের ওভারে তাসকিন পান করিম জানাতের উইকেটও। জানাত ১৮ বলে করেন ১৮ রান।
খুব বেশি রান তুলতে না পারলেও আমির হামজা ও ইয়ামিন আহমাদজাই মিলে উইকেটে খানিকটা সময় কাটিয়ে দেন। আমিরকে ফিরিয়ে তাদের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২১ বলে ৫ রান করেন আফগান স্পিনার। তাসকিন নেন ইয়ামিনের উইকেট।
মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিন ৪ উইকেটে ৪২৫ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ। তাতে ৬৬২ রানের বিশাল টার্গেট পায় সফরকারী দল। এদিন সেঞ্চুরি খরা কাটান দেশের একমাত্র টেস্ট স্পেশালিস্ট ব্যাটার মুমিনুল হক। মুমিনুলের মতো এ ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আগের ইনিংসে ১৪৬ রান করা ব্যাটার এ ইনিংসে করেন ১২৪ রান। লিটন কুমার দাসের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রান। রানআউটের শিকার হওয়া জাকির হাসান করেন ৭১ রান। আফগানদের হয়ে ২ উইকেট পান জহির খান। একটি উইকেট নেন আমির হামজা।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রান করেছিল টাইগাররা। শান্তর সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৭৬ রান করেন মাহমুদুল হাসান জয়। বাকিদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ ৪৮, মুশফিকুর রহিম ৪৭ ও মুমিনুল ১৫ রান করেন। জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। সফরকারীদের দ্রুত গুটিয়ে দেয়ার মিশনে এবাদত হোসেন ৪ উইকেট শিকার করেন। ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম ও মিরাজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩১:৫৬ ৪০ বার পঠিত