বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

আয়োজক না হয়েও কেন বিশ্বকাপের ম্যাচ হবে আর্জেন্টিনায়

প্রথম পাতা » খেলা » আয়োজক না হয়েও কেন বিশ্বকাপের ম্যাচ হবে আর্জেন্টিনায়
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪



আয়োজক না হয়েও কেন বিশ্বকাপের ম্যাচ হবে আর্জেন্টিনায়

২০৩০ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক চূড়ান্ত করেছে ফিফা। একটি টুর্নামেন্ট, তিনটি ভিন্ন মহাদেশ ও ছয়টি দেশে হবে ওই মেগা ইভেন্টের ম্যাচগুলো। তবে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়েতে হবে তিনটি বিশেষ ম্যাচ। আয়োজক না হয়েও তিন লাতিন দেশে শুরুর ম্যাচগুলো দিয়ে টুর্নামেন্টটির পর্দা উঠবে। ২০৩০ সালের ৮ জুন শুরু হয়ে বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে ২১ জুলাই।

এই প্রথমবার বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল পর্তুগাল ও মরক্কো। আর স্পেনে বিশ্বকাপ হয়েছিল ১৯৮২ সালে। ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার দৌড়ে স্পেন-পর্তুগাল একসঙ্গে বিড করে, পরে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় ইউক্রেনও। কিন্তু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটির জায়গায় পরে যুক্ত হয় মরক্কো। অন্যদিকে, এই তিন দেশের সঙ্গে আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় ২০২৩ সালে ইচ্ছাপোষণ করে আর্জেন্টিনা, চিলি, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত ইউরোপের দুই দেশ ও আফ্রিকার মরক্কোই পেল আয়োজক সত্ত্ব, বিশেষ ম্যাচের দায়িত্ব পেল তিন লাতিন দেশ।

২০৩০ বিশ্বকাপ নিয়ে ফিফার সিদ্ধান্ত— স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কোর প্রস্তাবই বেশি উপযুক্ত। আবার একইসঙ্গে ২০৩০ সালে যেহেতু বিশ্বকাপের শতবর্ষ পূর্ণ হতে চলেছে, সেটিরও একটা ছাপ রাখা দরকার। ১৯৩০ সালে প্রথম ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল উরুগুয়ে। বিশ্বকাপের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দেশটিতে ম্যাচ রাখার পরিকল্পনা নেয় ফুটবলের সর্বোচ্চ অভিভাবক সংস্থাটি। এর সঙ্গে যুক্ত করা হয় ম্যাচ আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করা আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়েকেও।

সব মিলিয়ে ২০৩০ বিশ্বকাপের জন্য আয়োজকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬-এ। যদিও বিশেষ তিন ম্যাচ বাদ দিলে আয়োজক হিসেবে থাকে তিনটি দেশ। ফিফা কংগ্রেসে গতকাল রাতে এটাই চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পেয়েছে। ১৩টি দেশের অংশগ্রহণে ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ আসর বসেছিল উরুগুয়েতে। ২০৩০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচও হবে সেখানে।

বিশ্বকাপের শতবর্ষ উদযাপনে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো, ‘২০৩০ বিশ্বকাপ হবে ফুটবলের অনবদ্য উদযাপনের মঞ্চ, যার কিক-অফ হবে দক্ষিণ আমেরিকায় (শতবর্ষ উদযাপনী হিসেবে) তিনটি বিশেষ ম্যাচ দিয়ে। পরবর্তীতে টুর্নামেন্টটি চলে যাবে ইউরোপের দুই দেশে (স্পেন-পর্তুগাল) যারা ফুটবলের দারুণ প্রতিনিধিত্ব করছে। মরক্কো-স্পেন ও পর্তুগালের এই সত্ত্ব পাওয়ার বিষয়টি ঐক্যের বার্তা দেয়, এর মানে ফুটবল সকল মানুষের জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০৩০ ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হবে বিশ্বকাপের শতবর্ষ উদযাপনী লড়াই। যেটি হবে উরুগুয়ের এস্তাদিও সেন্টানারিওতে। সেখানে প্রথম ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে শিরোপা জিতে উরুগুয়ে, প্রতিপক্ষ ছিল আর্জেন্টিনা।’

২০২৬ বিশ্বকাপের মতোই ২০৩০ আসরও হবে ৪৮টি দেশের অংশগ্রহণে। যেখানে সর্বোচ্চ ১৬টি দেশ সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে ইউরোপ (উয়েফা) থেকে। এ ছাড়া এশিয়া থেকে ৮, আফ্রিকা থেকে ৯, কনকাকাফ (উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চল) থেকে ৬, দক্ষিণ আমেরিকা (কনমেবল) থেকে ৬, ওশেনিয়া মহাদেশের ১ এবং দুটি দেশ আসবে প্লে-অফ খেলে। ৬ দেশের অংশগ্রহণে প্লে-অফ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৭:৩৪   ৫ বার পঠিত