নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হতে বাকি মাত্র কয়েক মিনিট। গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে গা বাঁচিয়ে খেলার বদলে তখনও আক্রমণাত্মক স্পেন। তবে বারবারই ব্যর্থ হচ্ছিলেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডরা। খেলা যখন অতিরিক্ত সময়ের দিকে এগোচ্ছিল তখনই হুট করে জালে বল জড়ান জোসেলু। ইতালিকে স্তব্ধ করে দিয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে স্পেন।
নেদারল্যান্ডসের গ্রোলস ভেস্তে স্টেডিয়ামে দুই বছর আগের প্রতিশোধটা নিতে পারল না ইতালি। পিছিয়ে গিয়ে সমতায় ফিরলেও শেষমেশ হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় রবার্তো মানচিনির শিষ্যদের। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ২-১ গোলে জিতে শিরোপা লড়াইয়ে জায়গা করে নিল স্প্যানিশরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য দেখিয়েছে স্পেন। তাই ফলাফল পেতেও দেরি হয়নি তাদের। অবশ্য দোষ কম ছিল না ইতালি অধিনায়ক লিওনার্দো বোনুচ্চির। গোলরক্ষকের পাস নিয়ন্ত্রণে নিতে একটু বেশিই দেরি করে ফেললেন তিনি, সেই সুযোগে ছুটে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ইয়েরিমো পিনো। নিঁখুত শটে দলকে তৃতীয় মিনিটেই লিড এনে দেন তিনি।
গোল পরিশোধে বেশি সময় নেয়নি ইতালি। একাদশ মিনিটে ডি-বক্সে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার লি নমোঁর হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পেয়ে যায় ইতালি। পেনাল্টি থেকে সমতা টানেন ইম্মোবিলে। ২১তম মিনিটে একবার এগিয়েও গিয়েছিল ইতালি। তবে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে সেই গোল বাতিল ঘোষণা করেন রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও দারুণ কিছু আক্রমণ করে স্পেন। তবে ভালো সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারেনি স্প্যানিশরা। ৪৮তম মিনিটে মোরাতার শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। চার মিনিট পর রদ্রির শটও ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে চলে যায়।
প্রতিপক্ষের একের পর এক আক্রমণ সামলে নিজেদের সীমানা থেকে বের হতেই পারছিল না ইতালি। তবে ৬৫তম মিনিটে তারাই দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে এগিয়ে যেতে পারতো। তবে ফ্রাত্তেসির শট ফিরিয়ে দেন উনাই সিমোন।
৮৮তম মিনিটে স্পেনের এক আক্রমণে ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় ইতালি। ডি বক্সের বাইরে থেকে শট নেন রদ্রি। সেই বল প্রতিপক্ষে দুজনের গায়ে লেগে চলে আসে গোলমুখে জোসেলুর কাছে। বাকি কাজটা দক্ষতার সাথেই সেরেছেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। এই জয়ে টানা দ্বিতীয়বার নেশন্স লিগের ফাইনালে উঠল স্প্যানিশরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:১১:০৫ ৪৪ বার পঠিত