পররাষ্ট্র সচিব মো জসীম উদ্দিন বলেছেন, মিয়ানমারে স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা জরুরি। কারণ, মিয়ানমারে স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে না বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বজায় রাখবে, যা এই অঞ্চলের সম্মিলিত স্বার্থের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকা সফররত থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রীর উপদেষ্টা ও বিশেষ দূত দুসিত মানাপান রোববার (২৪ নভেম্বর) পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সচিব বিশেষ দূতকে এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তবে বিশেষ করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, মিয়ানমারের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন তারা।
পররাষ্ট্র সচিব মিয়ানমারে শান্তি, স্থিতিশীলতায় আসিয়ান সদস্য হিসেবে থাইল্যান্ডের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গা শিবিরে জটিলতা ও হতাশার কথা উল্লেখ করে তিনি তাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন, যা কক্সবাজারে বসবাসকারী স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য হুমকিস্বরূপ। পররাষ্ট্র সচিব সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য থাইল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন এবং পাঁচ দফা ঐক্যমত বাস্তবায়নে আসিয়ানের ভূমিকার ওপর জোর দেন।
বিশেষ দূত মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে থাইল্যান্ডের অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। তিনি সীমান্ত নিরাপত্তা এবং আন্তঃদেশীয় অপরাধ মোকাবিলা সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
উভয়পক্ষ দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন এবং সংযোগ উন্নয়নের মতো দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৩:৩৬ ৯ বার পঠিত