রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনের বেশি এক দিনও থাকতে চায় না

প্রথম পাতা » চট্রগ্রাম » অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনের বেশি এক দিনও থাকতে চায় না
রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪



অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনের বেশি এক দিনও থাকতে চায় না

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সংস্কার বিলম্ব হওয়ার কোনো কারণ নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সময়টাই নেবে। আর এই প্রয়োজনীয় সময়টাকে বিলম্ব ভাবাটা উচিত নয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সময়ের এক দিন বেশিও থাকতে চায় না।

তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসে বেশ কয়েকটি সংস্কারের রিপোর্ট আসবে। যে সংস্কার কমিশনগুলো গঠিত হয়েছে তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই পরবর্তী ধাপটা বুঝতে পারব। জুলাই বিল্পবের পর যে বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে সেটি যেন পূর্বের অবস্থায় ফিরে না যায় সেটিই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য।

রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় আন্তঃস্কুল বিজ্ঞান উৎসবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এআরডি নামক মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থা বিজ্ঞান উৎসবটি আয়োজন করে।

ফরিদা আখতার বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যা বলেছেন সেটি উনার ব্যাপার। ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের রক্তের বিনিময়ে গঠিত অন্তবর্তীকালীন সরকার। কাজেই এটা নিয়ে আমরা হেলাফেলা করতে পারি না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার যেন গঠিত হয় সেই পরিবেশ করা। নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী কিছুই হচ্ছে না। সংস্কারের মাধ্যমে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে তুলে দিতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চেষ্টা করছে।

জামায়াতের আহ্বানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জুলাই ফাউন্ডেশন’ এর পক্ষ থেকে গতকালই রংপুরে শহীদ পরিবারগুলোকে ৫ লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কাজেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ সকল কাজ নিজেই করছে। তাছাড়া যারা আহত হয়েছে তাদেরকে ৩ লাখ টাকা এবং তাদের চিকিৎসায় বিশেষ সুবিধার জন্য কার্ড করে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া যারা হাত-পা-চোখসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ হারিয়েছেন তাদের জন্য এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছে।

ইলিশ নিয়ে এক প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, একটি সময় আছে যখন ইলিশ পদ্মা, মেঘনা থেকে আসে ডিম পাড়ার জন্য। সেই সুযোগটা যদি না দিই তাহলে উৎপাদন ব্যর্থ হবে। আর ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে ইলিশ বাজারে পেলেও ক্ষতি নেই। কারণ এর ভেতরে ইলিশ ডিম ছেড়ে দেয়। এবার ইলিশ নিধন বন্ধের অভিযান ফলপ্রসূ হয়েছে। কারণ ইলিশ আগে পদ্মা-মেঘনা পর্যন্ত থেকে যেত, এবার রাজশাহীসহ তিস্তা নদীতেও ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে মা ইলিশগুলো রক্ষা পেয়েছে।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, পুলিশ সুপার মো. জাবেদুর রহমান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. তৌফিকুল ইসলাম।

এআরডির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান রেজভীর সভাপতিত্বে স্বাগত ও মুখ্য আলোচনা করেন বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী, আর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এআরডির নির্বাহী পরিচালক ইয়াসমিন জাহান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৮:১০   ৭ বার পঠিত