এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ম্যাসন মাউন্টের জন্য ইউনাইটেডের দেয়া ৪০ মিলিয়ন পাউন্ডের প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে চেলসি।
ইউনাইটেড ম্যানেজার এরিক টেন হাগ ২৪ বছর বয়সী মাউন্টকে দিয়ে দলের ভবিষ্যত আক্রমনভাগ সাজাতে চেয়েছিলেন। ইংলিশ এই মিডফিল্ডারের সাথে চেলসির চুক্তির মেয়াদ আর মাত্র এক বছর বাকি ছিল। ইউনাইটেড বিশ্বাস করে মাউন্টের জন্য চেলসির নির্ধারিত ৭০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিড মোটেই বাস্তবসম্মত নয়।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ড থেকে মাউন্টের জন্য অন্য আরো একটি প্রস্তাবনা দেবার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। কিন্তু তার আগে গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে তাদের সার্বিক ব্যয়ও মাথায় রাখতে রাখতে হচ্ছে।
এই একই কারনে ইউনাইটেড টটেনহ্যাম থেকে ২৯ বছর বয়সী ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেনকে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডে হয়তোবা শেষ পর্যন্ত দলে ভেড়াতে পারছে না।
এবারের গ্রীষ্মে দলে নতুন একজন স্বীকৃত স্ট্রাইকারকে নিতে চেয়েছেন টেন হাগ। কিন্তু এ্যাটাকিং মিডফিল্ড পজিশনে মাউন্টের যোগ্যতা ইউনাইটেড বসকে তার প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে। মাত্র ছয় বছর বয়সে চেলসির একাডেমিতে যোগ দিয়েছিলেন মাউন্ট। ২০১৯ সালে প্রথম দলে অভিষেক হবার আগে ধারে ডাচ দল ভিটেসে আরনেম ও ইংলিশ দ্বিতীয় টায়ারের ক্লাব ডার্বি কাউন্টিতে খেলেছেন। টানা তিন মৌসুম মাউন্ট চেলসির প্রথম দলে নিয়মিত খেলেছেন। ২০২০-২১ মৌসুমে ব্লুজদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। কিন্তু ২০২২-২৩ মৌসুমে তার পারফরমেন্সের অবনতি হয়। ১২তম স্থানে থেকে লিগ শেষ করা চেলসির হয়ে মৌসুমের শেষভাগে ইনজুরির কারনে খেলতে পারেননি মাউন্ট। এ পর্যন্ত ব্লুজদের হয়ে ১৯৫ ম্যাচে করেছেন ৩৩ গোল।
গত মৌসুমে মাউন্টের চুক্তির বিষয় আলোচনা করেছে চেলসি। কিন্তু দুই ট্রান্সফার উইন্ডোতে ৬০০ মিলিয়ণ পাউন্ড ব্যয় করার কারনে ৩০ জনের ট্রান্সফার উইন্ডোতে তাদের খেলোয়াড় বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই।
২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে অভিষেক হয় মাউন্টের। ২০২০ সালে ইউরোর ফাইনালে খেলা মাউন্ট এ পর্যন্ত থ্রি লায়ন্সদের হয়ে ৩৬ ম্যাচে ৫ গোল করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৮:২৩ ৫৯ বার পঠিত