পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মানবস্বাস্থ্যের জন্য দৃশ্যমান হুমকি কমাতে প্লাস্টিকের টেকসই বিকল্প পরিবেশবান্ধব পণ্যসামগ্রীর ব্যবহার বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। এ লক্ষ্যে প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক, বিভিন্ন বাজার সমিতি, পলিথিনের বিকল্প সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, পরিবেশবাদী সংগঠনসহ প্রত্যেক নাগরিককে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন এবং পরিবেশ দূষণ রোধ তথা প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত দেশ গঠনে দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বুধবার (১৪ জুন) পরিবেশ অধিদপ্তরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৩ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ’।
শাহাব উদ্দিন বলেন, সব ধরনের প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে প্রণীত অ্যাকশন প্লানে ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেল করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য হ্রাস করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ এবং ২০৩০ সাল নাগাদ প্লাস্টিকের উৎপাদনে ৫০ শতাংশ ভার্জিন ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী আবু তাহের প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত শিশু-কিশোর, চিত্রাঙ্কন, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক ও শ্লোগান প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এবং পরিবেশ মেলায় অংশগ্রহণকারী শ্রেষ্ঠ স্টলের প্রতিনিধিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪১:৪১ ৫০ বার পঠিত