নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর শুরু হয় ২০০৯ সাল থেকে। প্রথম দুই আসরে ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জেতা হয়নি নিউজিল্যান্ডের। প্রায় ১৪ বছর পর আবারও ফাইনালের টিকিট পেয়েছে কিউই মেয়েরা। চলমান নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ রানে হারিয়েছে তারা।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) আগে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২০ রান তুলতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে ৮ রানের জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার কিয়ানা জোসেফ। এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি শেমাইন ক্যাম্পবেলও। মাত্র ৩ রান করে আউট হন এই ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক।
এরপর ২১ বলে ১৫ রান করে ফেরেন আরেক ওপেনার হেইলি ম্যাথিউস। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন ডিয়েন্ড্রা ডটিন। আলিয়া অ্যালেইন ৪ রান করে আউট হলে ২২ বলে ৩৩ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ডিয়েন্ড্রা ডটিন।
শেষ দিকে লড়াই জমিয়ে তোলেন আফি ফ্লেচার এবং জাইদা জেমস। জয়ের জন্য ৬ বলে ১৫ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। প্রথম বলে বাউন্ডারি মেরে ফ্লেচার আশা জাগালেও, তৃতীয় বলে জেমস বোল্ড আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
ফ্লেচারের অপরাজিত ১৭ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২০ রান তুলতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে ৮ রানের জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন ইডেন কারসন। এ ছাড়া অ্যামেলিয়া কের দুটি, সুজি বেটস, লিয়া তাহুহু, ও ফ্রান জোনাস একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে দুর্দান্ত শুরু করে দুই কিউই ওপেনার। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান। ২৮ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন সুজি বেটস।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি অ্যামেলিয়া কের। ১১ বলে ৭ রান করে আউট হন তিনি। ৩১ বলে ৩৩ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ওপেনার জর্জিয়া প্লামার।
এরপর ব্রুক হ্যালিডে (১৮), সোফি ডিভাইন (১২), ম্যাডি গ্রিন (৩) এবং রোজমেরি মাইর ২ রানে আউট হলে ছন্দ হারায় নিউজিল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত লিয়া তাহুহুর ৬ রান এবং ইসাবেলা গেজের অপরাজিত ২০ রানে ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রানের লড়াকু পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৩:৩৮ ৩৩ বার পঠিত