মহাষ্টমীতে অনুষ্ঠিত হলো কুমারী পূজা। এর মাধ্যমে সম্মান জানানো হলো নারী শক্তিকে। দুর্গারূপী ৮ বছরের এক কন্যাকে বসানো হয় রামকৃষ্ণ আশ্রমের মণ্ডপের কুমারী মাতার আসনে। ভক্তদের প্রত্যাশা, দেবী দুর্গার আশীর্বাদে ঘুচবে সকল বৈষম্য, সমাজে দৃঢ় হবে নারীর সম্মান।
পায়ে আলতা, দুই হাতে পদ্ম, কপালে সিঁদুরের তিলক। জীবন্ত প্রতিমা হয়ে দেবী দুর্গার আরেক নাম কুজ্বীকা নামে এলেন শিশু কন্যা সংহিতা ভট্টাচার্য। শাস্ত্রমতে, অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস- এই পাঁচ উপকরণে দেয়া হয় ‘কুমারী’ পূজা।
অর্ঘ্য প্রদানের পর দেবীর গলায় পরানো হয় পুষ্পমাল্য। পূজা শেষে প্রধান পূজারি আরতি নিবেদন করে জীবন্ত দেবীকে প্রণাম করেন। পূজার মন্ত্র পাঠ করে ভক্তদের মাঝে চরণামৃত বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী পূর্ণাত্মানন্দজী মহারাজ জানান, কুমারী পূজা রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের প্রবর্তিত একটি প্রথা। কুমারী মেয়েদের মধ্যে তিনি দেবীর উপস্থিতি দেখতেন। এ কারণে ছোট মেয়েদের তিনি অষ্টমীর দিন পূজার ব্যবস্থা করেন। ৮-১০ বছর বয়সের কুমারী মেয়েকে দেবীরূপে পূজা করা হয়।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, কুমারী কন্যার পূজা একাধারে সৃষ্টিকর্তার উপাসনা, মানবের বন্দনা আর পৃথিবীতে নারীর মর্যাদার প্রতিষ্ঠা। নারীর সম্মান, মানুষের সম্মান আর সৃষ্টিকর্তার আরাধনাই কুমারী পূজার অন্তর্নিহিত শিক্ষা।
ভক্তকুলের প্রত্যাশা, কুমারী পূজার মাধ্যমে নারী হয়ে উঠে পবিত্র, মাতৃভাবাপন্ন ও শক্তিশালী।
মহাঅষ্টমীর তিথি অনুযায়ী সন্ধিপূজা শুরু হয় দুপুর ১২টা ১৩ মিনিটে, শেষ হয় ১টা ১ মিনিটে। এরপরই শুরু হয় নবমীর তিথি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৩:০৮ ১৮ বার পঠিত