পাকিস্তানের করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় রোববার (৬ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে এই বিস্ফোরণে দুজন চীনা নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন।
স্থানীয় পুলিশ ও প্রাদেশিক সরকারের বরাত দিয়ে সোমবার (৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
বিদেশিদের লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে স্থানীয় টিভি চ্যানেলকে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া উল হাসান। তিনি বলেন, দূর নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ব্যবহার করে এ হামলা চালানো হতে পারে।
করাচি পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) আজফার মহেসার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিমানবন্দরের কাছাকাছি একটি ট্রাফিক সিগন্যালে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একটি তেলের ট্যাঙ্কারকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন, বিস্ফোরণে সাতটি গাড়ি পুড়ে গেছে। ফরেনসিক রিপোর্ট পেলে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এটি সন্ত্রাসীদের কাজ, নাকি দুর্ঘটনা সে সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পুলিশ মহাপরিদর্শক বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে তারা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, চীনা নাগরিকরাই ছিল হামলার লক্ষ্যবস্তু।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এক বিবৃতিতে সংঘঠনটি বলেছে, করাচি বিমানবন্দর থেকে আসা চীনা প্রকৌশলী এবং বিনিয়োগকারীদের একটি উচ্চ পর্যায়ের দল তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল।
পাকিস্তানের চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, সিন্ধু প্রদেশে একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করা চীনা প্রকৌশলীদের গাড়ি লক্ষ্য করে বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়েছে।
চীনা দূতাবাস আরও জানিয়েছে, ওই প্রকৌশলীরা চীনের অর্থায়নে নির্মিত পোর্ট কাসিম পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে জড়িত। প্রতিষ্ঠানটি করাচির কাছে পোর্ট কাসিমে দুটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। বিদ্যুৎ প্রকল্পটি চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের একটি অংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৩:২৪ ২০ বার পঠিত