জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ফসলি জমি চাষাবাদ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নুরুল ইসলাম নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি বিরুদ্ধে। এঘটনা উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চর পোগলদিঘা এলাকায় ঘটেছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী পরিবার সাংবাদিকদের অভিযোগ করে এ তথ্য জানান। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চর পোগলদিঘা গ্রামের মৃত হাতেম আলী মন্ডলের ছেলে নূরুল ইসলাম ও মজিবর রহমান এর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের নামীয় ক্রয়কৃত সম্পদের বন্টন নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
স্থানীয়রা জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে কেতু নামে এক দিনমজুর কৃষককে মারধর করেছে নূরুল ইসলাম। পরে আহত কৃষককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়।
এঘটনায় ভুক্তভোগী মজিবর রহমান জানান, বিবাদীরা আমার ভাই ও ভাতিজা হয়। তারা জোরপূর্বক আমার নামীয় বিআরএস রেকর্ডভুক্ত সম্পত্তি দখল করে নিতে চায়। আমি প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে বাড়ীতে যেতে দিচ্ছে না। চাষাবাদ এ বাঁধা সৃষ্টি করছে। যে সব জমি বর্গা দিয়েছি তাদের কেউ জমিতে না যেতে হুমকি দিচ্ছে। এছাড়াও কেতু নামে আমাদের এক বর্গা চাষীকে তারা মারধর করেছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাই।
এদিকে অভিযুক্ত নূরুল ইসলাম এঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমার ভাইয়ের বাড়িঘর, জমিজমা আমরা দখল করিনি। সেই আমাদের জমিজমা দখল করে অতিরিক্ত বিক্রি করে দিয়েছে। আমার অংশের জমি ভাইয়ের নামে বিআরএস রেকর্ড হওয়ায়। তার ছেলে হাসান সেই জমি বিক্রি করে দিতে চাচ্ছে। তাই আমরা বাধা দিয়েছি।
এছাড়াও তিনি বলেন, কেতু একজন দিনমজুর কৃষক। সে আমাদের ওয়ারিশ নয়। তাকে বারবার নিষেধ করার পরেও, সে হাসানের পক্ষ নিয়ে আমাদের জমি দখল করতে যায়। তাই বিষয়টি তাকে বুঝাতে গিয়ে সামান্য ঝগড়াবিবাদ হয়েছে। এছাড়া অন্য কিছু নয়।
এদিকে মজিবর রহমানের আরেক সহোদর ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, জমিজমা নিয়ে মারামারি, মামলা মোকদ্দমা ভালো না। এতে উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই সামাজিক ভাবে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা উচিত।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান বলেন, এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১১:৫৫ ১৭ বার পঠিত