ইসরাইলে অস্ত্র রফতানি আংশিক স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য। ইসরাইলের কাছে ৩৫০টি অস্ত্র রফতানি লাইসেন্সের মধ্যে ৩০টি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। অস্ত্রগুলো ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের গুরুতর লঙ্ঘনে’ ব্যবহৃত হতে পারে- এমন আশঙ্কায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য ইসরাইলে যে পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করে তা দেশটির মোট রফতানিকৃত অস্ত্রের ১ শতাংশেরও কম।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি সংসদে দেয়া ভাষণে বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এমন সব সামগ্রী রয়েছে, যা গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে বর্তমান সংঘর্ষে ব্যবহার করার আশঙ্কা রয়েছে। তবে, এতে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ অন্তর্ভুক্ত নয়।’
ইসরাইলের ‘আত্মরক্ষার অধিকারকে’ যুক্তরাজ্য সমর্থন করে জানিয়ে ডেভিড ল্যামি আরও বলেন,
লাইসেন্স স্থগিত করার অর্থ অস্ত্র রফতানির ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা নয়। যুক্তরাজ্য এখনও ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,
ব্রিটিশ সরকারের বেশ কিছু সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছে ইসরাইল, যার মধ্যে অস্ত্র রফতানি করার সিদ্ধান্তটি অন্যতম।
এ বিষয়ে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক হাসান বারারি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের এ ঘোষণায় একটি ফাঁকি রয়েছে। কারণ আত্মরক্ষার অধিকার এবং গাজায় ইসরাইলের চালানো গণহত্যার মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে গাজায় সংঘটিত নৃশংসতার সমালোচনা বা নিন্দা শুনিনি। তবে আমি মনে করি এটি ভালো পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে ইসরাইলকে অন্তত এই বার্তা দেয়া হলো যে, বিনা বাধায় এভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে দেয়া যাবে না।’
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৬:৪০ ২৫ বার পঠিত