শিক্ষার্থীরা পুলিশের ধাওয়ায় আশ্রয় নেয় একটি বাড়িতে। এতেও হয়নি শেষ রক্ষা। সেখানেই পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে ছয় জন নিহত হন। পরে লাশগুলো ভ্যানে করে সরিয়ে নেয়া হয়। এসময় বাধা দিলে স্থানীয়দের দিকে বন্দুক তাক করে গুলি ছুড়ে পুলিশ। ৫ আগস্টের সে ঘটনার
ছাত্র- আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের গুলি করে হত্যা, এরপর লাশ ভ্যান গাড়িতে করে স্তূপ করে রাখার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত কয়েকদিন ধরে ভাসছে। সেখানে দেখা যায়, লাশ গুম করতে তৎপর একদল পুলিশ। সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আরাফাত হোসেন।
গত ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়া থানার সামনে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ছুড়ে হত্যার রাজত্ব কায়েম করে পুলিশ। ভয়ংকর সেই দিন আর কী কী ঘটেছিল তার রোমহর্ষক বর্ণনা দেন প্রতক্ষদর্শীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, পুলিশের গুলিতে লাশের পর লাশ পড়ছিল। পরে পুলিশ ওই লাশগুলো গাড়িতে তুলে নিয়ে আগুন দেয়। লাশগুলো যেন না পুড়ে, সেজন্য পানি নিয়ে আগুন নেভাতে বের হয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের দিকেও গুলি ছুড়ে। থানার সামনে শুধু রক্ত আর রক্ত!
নিহতের স্বজনরা হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এক নিহতের স্বজন মো. শাহিন বলেন, লাশ পুড়ে যাওয়ার কারণে চিনতে পারিনি। পরে ভিডিও বের হওয়ার পর পোশাক দেখে চিনতে পেরেছি। এ ঘটনার বিচার চাই।
গত ৪ ও ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আশুলিয়ায় পুলিশ ও ছাত্রলীগের গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৬ জন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন প্রায় শতাধিক।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৪১:০৩ ২৪ বার পঠিত